বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায় যে ফলগুলো খেলাফত আন্দোলনের সাথে সমমনা ইসলামি দলসমূহের বৈঠক অনুষ্ঠিত কুরআনের মহব্বত থেকেই আমার রাজনীতিতে আসা: শায়খ নেছার আহমদ জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: আখতার হোসেন ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ নাশরুস সীরাহ’র সীরাত প্রতিযোগিতা, চলছে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়: তীব্র নিন্দা ধর্মীয় নেতাদের মহাসমাবেশে আসার পথে আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে শায়খে চরমোনাই  ইবনে শাইখুল হাদিস এর আগমন উপলক্ষে শৈলকুপায় ব্যাপক প্রস্তুতি

অক্সিজেনের অভাবে পাবনায় ৪ করোনা রোগীর মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: অক্সিজেন সংকটে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।

রোববার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে সোমবার (৫ জুলাই) দুপুর ১২টার মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয় বলে তারা জানান। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ডা. সালেহ মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃতরা হলেন সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের মৃত আলহাজ্ব দায়েন বিশ্বাসের স্ত্রী রাশিদা বেগম (৭০), ঈশ্বরদীর চরকুরুলিয়া গ্রামের মৃত কোরবান সরকারের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন (৭০), পাবনার শহর এলাকার, নূরে আলম (৬৭), নাজমুল ইসলাম (৭২)।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দায়িত্বে থাকা একজন সিনিয়র চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সংক্রমণ বাড়তে থাকায় পাবনা হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ বাড়ছে।

হাসপাতালে এসেও রোগীদের বাইরে থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করতে হচ্ছে। তাতেও সংকট কাটছে না। এখন কোনো রোগীর থেকে কেড়ে নিয়ে তো অন্যকে দেওয়া যায় না। ঘাটতির কারণে ঠিকমত অক্সিজেন সরবরাহ করতে না পারায় রোগীরা মারা গেছেন।

নিহত রাশিদা বেগমের বড় ছেলে মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, আমার আম্মাকে রবিবার দুপুরে ঠান্ডা-জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে সদরের করোনা ইউনিটে ভর্তি করেছিলাম। শুরু থেকেই অক্সিজেন সংকট ছিল। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ১০ বার বলার পরও তারা আমার মায়ের জন্য একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার দেয়নি। শেষে অক্সিজেন সংকট নিয়েই মায়ের মৃত্যু হলো।

তিনি জানান, এ সময় হাসপাতালের প্রতিটি রোগী প্রচণ্ড কষ্ট পাচ্ছিল। অক্সিজেনের অভাবে তার সামনে তিনজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আফসোস করে বলেন, অনেক আশা নিয়ে মাকে নিয়ে হাসপাতালে আসছিলাম, ভেতরে ঢুকেই দেখি ন্যুনতম কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। নার্সরা ঠিকমত ডিউটি করতে আসছে না। করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর ভাই মামুন হোসেন জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।

অনেক ভালো রোগীকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করে রেখেছে। আমার বোনকে ১২ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। পরদিন করোনা পরীক্ষার নমুনা দিলে সোমবার ১১ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো ফলাফল পাচ্ছি না। যার কারণে আমাদের রোগী এখন সুস্থ্য হলেও এই ওয়ার্ডে ভর্তি করে রেখেছে।

অক্সিজেন সংকটে মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ডা. সালেহ মোহাম্মদ আলী বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের অনেকেই শেষ সময়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। শেষ সময়ে একজন করোনা রোগী হাসপাতালে আসলে কিছু করার থাকে না। যারা মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগই করোনা আক্রান্ত হয়ে শেষ সময়ে হাসপাতালে এসেছিল।

তিনি জানান, জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন চালু না থাকায় অক্সিজেনের ব্যাপক সংকট দেখা দিচ্ছে। মেডিফোল্ড সিস্টেমে বড় বোতলে অক্সিজেন সরবরাহ শুরু হয়েছে। তবে, রোগীর চাপের সঙ্গে পাল্লা দিতে আরো অক্সিজেন প্রয়োজন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ