বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম যে পরিমাণ স্বাধীনতা ভোগ করে, সেটি অনেক দেশেই করে না’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

স্বাধীনভাবেই কাজ করছে বাংলাদেশের গণমাধ্যম: তথ্যমন্ত্রী

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম যে পরিমাণ স্বাধীনতা ভোগ করে, সেটি অনেক দেশেই করে না। এমনকি বাংলাদেশে যেমন স্বাধীনভাবে গণমাধ্যমের মাধ্যমে মানুষ মতপ্রকাশ করতে পারে, সংবাদ পরিবেশিত হয়, অনেক উন্নত দেশেও সেক্ষেত্রে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। আমরা অনেক দেশের তুলনায় অনেক বেশি এগিয়ে আছি।’

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটির ডিজিটাল মিডিয়া ল্যাব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান এম এ কাশেম।

ড. হাছান বলেন, ‘আমরা চাই এই গণমাধ্যমের অবাধ বিকাশ। কারণ, গণমাধ্যমের অবাধ বিকাশ ছাড়া রাষ্ট্রের বিকাশ সম্ভবপর নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আমাদের দেশে গণমাধ্যমের অবাধ বিকাশ ঘটেছে। গত ১২ বছরের খতিয়ান যদি আমি দেই তাহলে দেখা যায়, আমাদের দেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই। ১২ বছর আগে টেলিভিশন ছিল ১০টি এখন বেসরকারি টেলিভিশন ৩৫টি চালু এবং আরও ১০টি সম্প্রচারের অপেক্ষায়। আমাদের বেসরকারি রেডিও চ্যানেল ২২টি এবং হাজার হাজার অনলাইন পত্রিকা চালু রয়েছে। অনেকগুলো আইপি রেডিও এবং টেলিভিশন চালু রয়েছে। একই সঙ্গে পত্রিকার সংখ্যা সাড়ে ১২ বছর আগে ছিল ৪৫০, এখন সেটি সাড়ে ১২শ’ অর্থাৎ প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।’

এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে ড. হাছান বলেন, ‘আমরা দেখেছি বহু অনলাইন বা আইপি টিভি খুলে অনেকে সেটি ভিন্ন উদ্দেশ্যে পরিচালনা করছে এবং সেখানে নানা ধরনের বিষয় প্রচার করা হয় যেগুলো আমাদের সমাজ, সংস্কৃতির সাথে যায় না, যেগুলো তরুণ সমাজকে বিপথে পরিচালিত করে। আমরা এই সমস্ত আইপি টিভির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো যেসব প্রতিষ্ঠান আইপি টিভি চালু করবে, আমরা সেটিকে সাধুবাদ জানাই, অভিনন্দন জানাই। এটি শিক্ষার প্রসার ও ছাত্রছাত্রীদের মেধাবিকাশের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে এবং একই সঙ্গে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীসহ সবাইকে সংযুক্ত রাখার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব টিভি ও রেডিও ছাত্রদের মেধাবিকাশের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যদি আমার নিজের জীবনের পেছনে ফিরে তাকাই তাহলে দেখতে পাই, আমার স্কুলের শিক্ষা, কলেজের শিক্ষা আমাকে শুধু ডিগ্রি দিয়েছে তা নয়, পাশাপাশি আমার অন্য সুপ্ত বিষয়গুলো যদি বিকশিত করার সুযোগ করে না দিত, তাহলে আমি আজকের এই জায়গায় কখনো আসতে পারতাম না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুধু বিশ্বমানের শিক্ষাই দেবে না, এমন উন্নত মানুষ তৈরি করবে, যারা পৃথিবীকে পথ দেখাবে।’

এ সময় নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটির ওয়েবসাইট থেকে পরিচালিত এনএসইউ রেডিও এবং এনএসইউ টিভির অনুষ্ঠান দেখানো হয় এবং তথ্যমন্ত্রী একটি সংক্ষিপ্ত ‘টক শো’তে অংশ নেন।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ