সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ ।। ৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২৭ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
এরপরও আজকের পৃথিবীকে বলতে হবে সভ্য, শান্তিকামী! ভুল চিকিৎসায় শিশুপুত্রের মৃত্যুর করুণ বর্ণনা দিলেন শিল্পী বদরুজ্জামান ইরানে মার্কিন আগ্রাসনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাল জমিয়ত জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন না হলে দেশজুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি! ‘প্রধানমন্ত্রী একক ক্ষমতার অধিকারী হলে সরকার ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে’ ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ জাতীয় সরকার গঠন হবে এনসিপির নেতৃত্বে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাওলানা মুহসিনুল হাসানের গণসংযোগ, ইনসাফভিত্তিক সমাজ গড়ার আহ্বান ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, জাতিসংঘ মহাসচিবের গভীর উদ্বেগ জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক

হিজাব পরায় ট্রাম্প হোয়াইট হাউজ ছাড়া করলেও ফিরিয়ে আনলেন বাইডেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুমানা আহমেদ মুসলিম হওয়ায় হিজাব পরেন। আর এই হিজাবের কারণে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টিমে টিকতে পারেননি। তবে যোগ্যতা থাকলে একজন মানুষকে আটকিয়ে রাখতে পারে না, তারই প্রমাণ দিয়েছেন রুমানা।

ট্রাম্পের আমলে হোয়াইট হাউসে ছাড়লেও নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসন আমলে ফের হোয়াইট হাউসে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুমানা আহমেদ। রুমানা ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়ার (ইউএসএজিম) রিভিউ প্যানেলের সাত সদস্যের অংশ হয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।

রুমানা হিজাব পরায় ট্রাম্পের লোকজনের কাছে প্রায়ই অপদস্ত হতেন। তাকে কেউই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারত না। ২০১৭ সালে পদত্যাগের নেপথ্য এই কারণগুলো জানিয়ে দ্য আটলান্টিকে একটি কলাম লেখেন রুমানা। ওই লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।

তার বাবা ১৯৭৮ সালে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান। তার মা দেশটিতে একটি দোকানে ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে নিজের উদ্যোগে একটি ডে-কেয়ার সেন্টার চালু করেন।

বাবা ব্যাংক অব আমেরিকায় লেটনাইট কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। পরে একটি শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রমোশন পান। রুমানার বাবার স্বপ্ন ছিল পিএইচডি করবেন। কিন্তু ১৯৯৫ সালে তার সেই স্বপ্ন থেমে যায়। সড়ক দুর্ঘটনায় একটি গাড়ি তার বাবার মৃত্যু হয়।

রুমানা জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনে যোগ দেন। ওবামার আমলে দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে কাজ করতে থাকেন। রুমানা তার সেই আলোচিত কলামে জানান, ওবামা ক্ষমতা ছাড়লে হোয়াইট হাউসে তার অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ে। সপ্তাহ পার হতে না হতে তাকে চাকরি ছেড়ে দিতে হয়।

রুমানা বলেন, আমার কাজ ছিল দেশের সেবা করা। ওয়েস্ট উইংয়ে আমি ছিলাম একমাত্র হিজাবী। ওবামা প্রশাসন সব সময় আমাকে স্বাগত জানিয়েছে। রুমানা কলামে লিখেছেন, অন্য মুসলিমদের মতো ২০১৬ সালে আমিও ট্রাম্পের কাজকর্ম দেখতে থাকি। আমি ভেবেছিলাম, দেশের জন্য তার প্রশাসনে আমার থাকা উচিত। আমি আটটা দিন টিকতে পেরেছিলাম।

রুমানা বলেন ট্রাম্প যখন সাতটি মুসলিম-প্রধান দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন, তখনই বুঝে যাই আমার আর সময় নেই। ভাবতে থাকি, এমন একটা প্রশাসনে কাজ করি, যারা আমাকে অধীনস্ত নাগরিক মনে করে, হুমকি হিসেবে দেখে। আমি ১২ বছর বয়স থেকে হিজাব ব্যবহার শুরু করি। পরিবার আমাকে উৎসাহিত করলেও এটা আমার নিজেরই পছন্দ ছিল। এটা ছিল আমার বিশ্বাসের, সত্তার এবং সহনশীলতার প্রতীক।

রুমানা এত বঞ্চনা সহ্য করতে পারতেন বাবার শেখানো ইসলামিক বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে। তার বাবা বাংলায় বলতেন, কেউ যখন তোমাকে ফেলে দেবে, উঠে দাঁড়াবে। দুহাত মেলে তাকে ভাই বলে ডাকবে।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ