শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ৩০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কাদিয়ানী ইস্যুতে সংসদীয় সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: আল্লামা ওবায়দুল্লাহ ফারুক শিক্ষার মাঠে বৈষম্যের দেয়াল,এক পেশার দুই প্রান্তের গল্প “খতমে নবুওয়তের দাবিতে একত্রিত উম্মাহ: আহমদীয়া ইস্যুতে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের দাবি” কাদিয়ানি ইস্যুতে রাজনৈতিক মহলের স্পষ্ট অবস্থান চান পীর সাহেব মধুপুরী উম্মাহর ঐক্যই খতমে নবুয়তের শক্তি: মাওলানা ফজলুর রহমান আহমদীয়াদের  অমুসলিম ঘোষণা সময়ের দাবি: মহিবুল্লাহ বাবুনগরী মৌলিক দাবি উপেক্ষিত হলে সংবিধান মানবে না মুসলমানেরা: এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী  কাদিয়ানীরা ইসলামের গণ্ডির বাহিরে: সাইয়েদ কাফিল বুখারী ধর্মীয় কার্যক্রম ও প্রতীক ব্যবহারে অমুসলিমদের কোনো অধিকার নেই রাসূলুল্লাহ সা.কে আখেরি নবী হিসেবে বিশ্বাসই মুসলিমের পরিচয়: সালাহউদ্দিন আহমেদ

বাইতুল্লাহর আদলে নির্মাণ হতে পারে অযোধ্যার মসজিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভারতের রাম জন্মভূমি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায় অনুযায়ী অযোধ্যায় বাস্তবায়িত হতে যাওয়া মসজিদটি প্রচলিত আঙ্গিক নয় বরং ভিন্ন আদলে নির্মাণ করা হবে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মসজিদটি নির্মাণের দায়িত্ব পাওয়া ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের (আইআইসিএফ) সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র আতহার হুসেইন জানিয়েছেন, মসজিদের প্রথাগত আদলের বাইরে গিয়ে নির্মাণ হবে এটি।

সেক্ষেত্রে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে অবস্থিত পবিত্র কাবা শরিফের আদলে এটি নির্মাণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আতহার জানান, নতুন মসজিদটি কোনও সম্রাট বা বাদশাহের নামে নামকরণ করা হবে না।

অযোধ্যার ধন্নিপুর গ্রামে পাঁচ একর জমিতে নির্মাণ হবে মসজিদ রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ নিয়ে শতাব্দী প্রাচীন বিবাদের আইনি ইতি টেনে ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়, অযোধ্যার বিতর্কিত ওই ২ দশমিক ৭৭ একর জমিতে গড়ে উঠবে রাম মন্দির। আর অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মসজিদের জন্য বরাদ্দ করা হবে ৫ একর জমি। মন্দির ও মসজিদ নির্মাণে হিন্দু ও মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের আলাদা দুটি সংস্থাকেও দায়িত্ব দেয় আদালত।

ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র আতহার হুসেইন বলেন, ‘মসজিদটির নাম বাবরি মসজিদ হবে না। কোনও বাদশাহ কিংবা সম্রাটের নামেও এটির নামকরণ হবে না। আমার ব্যক্তিগত মত হলো এটিকে ধন্নিপুর মসজিদ নাম দেওয়া উচিত হবে।’

মসজিদ কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে জাদুঘর, হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলে জানান আতহার হুসেইন। এজন্য অনুদান সংগ্রহের উদ্দেশে ফাউন্ডেশনের নিজস্ব ওয়েবসাইট বানানোর কাজ চলছে বলেও জানান তিনি। ওই ওয়েবসাইটে ভারতের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ইসলামিক বিশেষজ্ঞদের লেখা থাকবে বলেও জানান আতহার। তিনি বলেন, পোর্টালের কাজ এখনও কিছুটা বাকি রয়েছে আর সেকারণে অনুদান সংগ্রহ শুরু করা যায়নি।

প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী ‘করসেবকেরা’ অযোধ্যার বাবরি মসজিদ গুড়িয়ে দেয়। তাদের দাবি, ওই স্থানেই ছিলো প্রাচীন রাম মন্দির।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ