সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৮ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জুলাই আন্দোলনের অগ্রসেনানী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ খুলনায় হাতপাখার সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির জরুরী বৈঠক সার্বিক উন্নয়ন ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই: হাফিজ ফখরুল ইসলাম ফরিদপুরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর প্রচারণার গেট ও ব্যানার ভাঙচুর  জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে: এ টি এম মাছুম জামায়াত আমিরের আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যিনি খালেদা জিয়াসহ ৯ নারী পেলেন বিএনপির মনোনয়ন ২৩৭ আসনে বিএনপির ধানের শীষ পেলেন যারা নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলায় মতিউর রহমান আকন্দ নিন্দা বস্ত্রহীন ঘুমানোর হুকুম কী ?

তওবার মাধ্যমে শুরু হোক বাংলা নববর্ষ ১৪২৭

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

এহসান বিন মুজাহির।।

বিদায় ১৪২৬। স্বাগত বাংলা নববর্ষ ১৪২৭। বাংলা বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে যেসব অনুষ্ঠানমালা ইতোপূর্বে পালিত হয়েছে এসব কোন মুসলমান এবং বাঙালির সংস্কৃতি হতে পারে না। তবে এবছর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে র‌্যালিসহ কোন অনুষ্ঠানই পালন করা যাবে না। গণজমায়েত এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সচেতন থাকার জন্য সরকার সারাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন নিষেধ করেছে।

বাংলা ও ইংরেজি নববর্ষ বরণের নামে আমরা ভিনদেশী সংস্কৃতি পালনে নিমগ্ন। অথচ বিজাতীয় সংস্কৃতি উদযাপন থেকে বিরত থাকতে কোরআন ও হাদিসে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন-‘যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্মের অনুসরণ করবে কখনো তার সেই আমল গ্রহণ করা হবে না। আর পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’। (সূরা আল ইমরান : ৮৫)।

পবিত্র কোরআনুল কারিমের অন্য আয়াতে মহান আল্লাহপাক সুস্পষ্ট এরশাদ করেন-‘প্রত্যেক জাতির জন্য আমি একটি নির্দিষ্ট বিধান এবং সুস্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি’। (সূরা মায়িদাহ : ৪৮)।

বৈশাখকেন্দ্রিক প্রচলিত সকল বেহায়াপনা ও অপব্যয়ের আয়োজন ইসলামে নিষিদ্ধ। এতে অংশগ্রহণ করাকেও অনৈসলামিক কাজে অংশগ্রহণ করার সমান বলেই বিবেচ্য হবে। বিজাতীয় সংস্কৃতি অনুকরণ ইসলামে সমর্থিত নয়। এ সম্পর্কে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, যে অন্য কোনো সম্প্রদায়ের অনুকরণ বা সাদৃশ্য গ্রহণ করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত গণ্য হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৫১২)।

হজরত আব্দুল্লাহ বিন আমর থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হজরত রাসূল (সা.) এরশাদ করেন-‘যে ব্যক্তি অনারবীয় দেশে বসবাস করে সে যদি সে দেশের মেহেরজান (নববর্ষ) উদযাপন করে এবং বাহ্যিকভাবে তাদের সাথে সাদৃশ্য রাখে এমনকি এ অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে, তাহলে কেয়ামতের দিন তাকে তাদের (কাফিরদের) সাথে হাশর করা হবে’। (বায়হাকি : ২৭০)।

সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতি উদযাপন, বেহায়াপনা এবং অপচয় ইসলাম কখনোই সমর্থন করে না। মহান আল্লাহ বলেন-আর কিছুতেই অপব্যয় করবে না। যারা অপব্যয় করে তারা শয়তানের ভাই এবং শয়তান তার প্রতিপালকের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ’। (সূরা বনি ইসরাইল : ২৬-২৭)।

বাংলা সনের নতুন একটি বছর শুরু হতে যাচ্ছে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে গত বছরের পর্যালোচনা করে আগামীর সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণে সচেষ্ট হওয়া। নববর্ষকে আল্লাহর নেয়ামত মনে করে শুকরিয়া আদায় করা, নববর্ষের আনন্দ দুঃস্থ-দরিদ্রদের সঙ্গে ভাগ করা, নববর্ষে অভাবী মানুষের খোঁজ-খবর, খাদ্য এবং পোশাক দান করা। পাশাপাশি এই দিনে পেছনের ভুলগুলোর অনুশোচনা ও আত্মসমালোচনা করে আগামী বছরের কল্যাণ কামনা করে সিজদাবনত হয়ে আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার।

তাওবাহ, ইস্তিগফার, দোয়া-দরূদ, নফল নামাজ ইত্যাদি ভালো কাজে পুরো দিনকে কাটানো। অথচ বর্ষবরণে আমরা এসব কল্যাণকর কাজের ধারে কাছে না গিয়ে নিত্য-নতুন অশ্লীলতা ও গোনাহের কাজে প্রতিনিয়ত লিপ্ত হচ্ছি! এসব থেকে বেঁেচ থাকতে হবে। মহান আল্লাহপাক আমাদেরকে ইসলামী ভাবধারার সকল সুস্থ সংস্কৃতি পালনের তাওফিক দান করুন।

লেখক: প্রিন্সিপাল শ্রীমঙ্গল আইডিয়াল স্কুল, মৌলভীবাজার

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ