বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৩ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র চাইলে বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের সংসদে পাঠাতে হবে : মোহাম্মদ আলী জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হওয়া ছাড়া নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই : নাহিদ ইসলাম তালাক নয়, সংশোধনেই সমাধান: শায়খ আহমাদুল্লাহ শহীদের রক্তের বদলা ইসলামের বিজয়ের মাধ্যমেই নেওয়া হবে : মাসুদ মেট্রোরেল নিরাপদ, যাত্রীদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ ডিএমটিসিএলের দেশকে বিএনপি তিনবার ও আ.লীগ একাধিকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল: চরমোনাই পীর টেকসই গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহিতা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় : মাসুদ সাঈদী আফগান শান্তি আলোচনা ভেঙে যাওয়ার কারণ ভারত: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অবৈধ মোবাইলের ব্যবহার বন্ধ করতে চালু হচ্ছে এনইআইআর সিস্টেম ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বিমানের সফল উড্ডয়ন

মিসরে শিক্ষিকাদের নেকাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা, সমালোচনার ঝড়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মিসরের কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিকাদের ওপর নেকাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় কঠোর সমালোচনার ঝড় বইছে দেশটিতে।সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা আরবির এক প্রতিবেদনে এ খবর দেওয়া হয়েছে।

খবরে বলা হয়, সপ্তাহের শুরুর দিন শনিবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত জানানোর পরপরই বিশ্বব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিসরের বিরুদ্ধে সমালোচনায় ফেটে পড়েন নেটিজেনরা।

ইউরো নিউজের খবরে জানানো হয়, ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের জারিকৃত কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের ওপর নেকাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞাদেশের পক্ষে চূড়ান্তভাবে এই রায় ঘোষণা করল আদালত।

নেকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞাদেশ জারির পর থেকেই পর্দা পালনকারী নারী শিক্ষিকারা আদালতের অবিবেচ্য এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কর্মরত ৮০ জন পর্দানশিন নারী গবেষকের পক্ষের আইনজীবী আহমাদ মেহরান ফ্রান্স প্রেসকে বলেছেন, কায়রোতে অধিকাংশ নারী আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছিল, এরপরও গণসম্মতির বাইরে সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় দেয়া হয়েছে- যার কোন কারণই আমাদের জানা নেই।

কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য জাবির নেসার ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষিকাদের ওপর নেকাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে একটি আদেশ জারি করেন।তখনই নারীরা এই আদেশের বিরোধিতা করে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন।

জাবির নেসার আগে থেকেই তার এই নিষেধাজ্ঞাদেশ চালু করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু ইসলামপন্থী মুরসি সরকার ক্ষমতায় আসলে তিনি কিছুটা পিছু হটেন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে মুহাম্মাদ মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার দুই বছরের মাথায় ফের তিনি তার আইন বাস্তবায়নে সক্রিয় হন এবং ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নেকাব পরিধানের ওপর প্রশাসনিক আইন জারি করেন।

নেকাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সম্পর্ক ও যোগাযোগকে সহজ ও ফলপ্রসূ করার যুক্তি দেখিয়েছে আদালত। আর নেকাবে নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র শিক্ষিকাদের জন্য মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নয় বলেও জানিয়েছে তারা।

আহমাদ মেহরানের মতে, আদালতের এই রায় বাস্তবায়ন অতটা সহজ হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার পরও নারী কর্মীরা নেকাব জড়িয়েই কাজ করে আসছে এবং কাজে উন্নতি করেছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মিসর আদালতের এই রায়কে গভীর ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে মিসরকে বিধর্মী শক্তির ষড়যন্ত্রের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু উল্লেখ করেছেন। এই রায়কে সিসি সরকারের কোন অশুভ পরিকল্পনার অংশও বলছেন অনেকে। তারা এই রায় প্রত্যাখ্যান করার আহবান জানান।

আল জাজিরা ও ইউরো নিউজ আরবি অবলম্বনে বেলায়েত হুসাইন

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ