বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ ।। ১১ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইরান সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছে : ট্রাম্প আদর্শ সমাজ গড়তে মাদরাসা অধ্যক্ষদের নেতৃত্ব জরুরি : ইআবি ভিসি নির্বাচনের আগে শাপলা ও জুলাই গণহত্যার বিচার করতে হবে: ইসলামাবাদী ফরিদপুর ভাঙ্গা থানায় ব্রীজ থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু  টেলিগ্রামে প্রেম,মাদরাসা ছাত্রীকে যৌনপল্লিতে বিক্রি, গ্রেপ্তার-১   ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের ৬ গবেষণাগার ধ্বংস, অপূরণীয় ক্ষতি সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা’ ও ‘বিসমিল্লাহ’ সংযোজনের দাবি জামায়াতের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: তেহরান প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর করার পক্ষে বিএনপি, তবে... বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাচনে সভাপতি রিফাত, সম্পাদক ইনামুল

মিসরে শিক্ষিকাদের নেকাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা, সমালোচনার ঝড়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মিসরের কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিকাদের ওপর নেকাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় কঠোর সমালোচনার ঝড় বইছে দেশটিতে।সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা আরবির এক প্রতিবেদনে এ খবর দেওয়া হয়েছে।

খবরে বলা হয়, সপ্তাহের শুরুর দিন শনিবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত জানানোর পরপরই বিশ্বব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিসরের বিরুদ্ধে সমালোচনায় ফেটে পড়েন নেটিজেনরা।

ইউরো নিউজের খবরে জানানো হয়, ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের জারিকৃত কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের ওপর নেকাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞাদেশের পক্ষে চূড়ান্তভাবে এই রায় ঘোষণা করল আদালত।

নেকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞাদেশ জারির পর থেকেই পর্দা পালনকারী নারী শিক্ষিকারা আদালতের অবিবেচ্য এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কর্মরত ৮০ জন পর্দানশিন নারী গবেষকের পক্ষের আইনজীবী আহমাদ মেহরান ফ্রান্স প্রেসকে বলেছেন, কায়রোতে অধিকাংশ নারী আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছিল, এরপরও গণসম্মতির বাইরে সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় দেয়া হয়েছে- যার কোন কারণই আমাদের জানা নেই।

কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য জাবির নেসার ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষিকাদের ওপর নেকাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে একটি আদেশ জারি করেন।তখনই নারীরা এই আদেশের বিরোধিতা করে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন।

জাবির নেসার আগে থেকেই তার এই নিষেধাজ্ঞাদেশ চালু করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু ইসলামপন্থী মুরসি সরকার ক্ষমতায় আসলে তিনি কিছুটা পিছু হটেন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে মুহাম্মাদ মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার দুই বছরের মাথায় ফের তিনি তার আইন বাস্তবায়নে সক্রিয় হন এবং ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নেকাব পরিধানের ওপর প্রশাসনিক আইন জারি করেন।

নেকাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সম্পর্ক ও যোগাযোগকে সহজ ও ফলপ্রসূ করার যুক্তি দেখিয়েছে আদালত। আর নেকাবে নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র শিক্ষিকাদের জন্য মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নয় বলেও জানিয়েছে তারা।

আহমাদ মেহরানের মতে, আদালতের এই রায় বাস্তবায়ন অতটা সহজ হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার পরও নারী কর্মীরা নেকাব জড়িয়েই কাজ করে আসছে এবং কাজে উন্নতি করেছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মিসর আদালতের এই রায়কে গভীর ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে মিসরকে বিধর্মী শক্তির ষড়যন্ত্রের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু উল্লেখ করেছেন। এই রায়কে সিসি সরকারের কোন অশুভ পরিকল্পনার অংশও বলছেন অনেকে। তারা এই রায় প্রত্যাখ্যান করার আহবান জানান।

আল জাজিরা ও ইউরো নিউজ আরবি অবলম্বনে বেলায়েত হুসাইন

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ