বুধবার, ২৮ মে ২০২৫ ।। ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ১ জিলহজ ১৪৪৬


ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের ইন্তেকাল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ (৮৩) আর নেই (ইন্নলিল্লাহি...রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে এবং তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন বলে জানা গেছে।

আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া অ্যান্ড এক্সটার্নাল রিলেশনস বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান রাফি সাদনান আদেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আগামী রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তার মরদেহ আর্মি স্টেডিয়ামে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। দুপুর সাড়ে ১২টায় ওই স্টেডিয়ামেই স্যার ফজলে হাসান আবেদের নামাজে জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজার পর ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

নভেম্বর মাসের শেষের দিকে ব্র্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক দুর্বলতার কারণে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ফজলে হাসান আবেদ মাত্র ৩৬ বছর বয়সে, ১৯৭২ সালে তদানীন্তন সিলেট জেলায় একটি ক্ষুদ্র ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রকল্প হিসেবে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন।

গত ৪৭ বছরে বহুবিস্তৃত কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে ব্র্যাক বিশ্বের অন্যতম কার্যকরী বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় পরিণত হয়েছে। মাইক্রোফাইন্যান্স, সামাজিক ব্যবসা, বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে বহুমাত্রিক বিনিয়োগ সমন্বয়ে ব্র্যাক আজ বিশ্বের বুকে একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান।

সংস্থাটি এশিয়া ও আফ্রিকার ১১টি দেশের ১০ কোটিরও বেশি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছে।

ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লন্ডনে অ্যাকাউন্টিং বিষয়ে পড়ালেখা করেন।

১৯৬২ সালে কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে উত্তীর্ণ হন। পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানিতে সিনিয়র কর্পোরেট এক্সিকিউটিভ পদে কর্মরত থাকাকালে ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ তার জীবনের মোড় সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করে দেয়।

মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি চাকরি ছেড়ে লন্ডনে চলে যান। সেখানে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ এবং ‘হেলপ বাংলাদেশ’ নামে দুটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।

ব্র্যাক প্রতিষ্ঠার পর ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় তার বয়স ৬৫ হয়ে গেলে তিনি নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। এরপর ব্র্যাকের চেয়ারপারসন হিসেবে কর্মরত ছিলেন আরও ১৮ বছর। কয়েক মাস আগে সে পদটিও ছেড়ে দিয়ে অবসরে যান এই গুণী ব্যক্তি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ