বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

আব্বাজান রহ. যে রত্ন হারিয়ে খুঁজি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাজী মুহাম্মদ সানাউল্লাহ
আলেম ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব

আব্বাজান। হযরত মাওলানা ফজলুর রহমান রহমাতুল্লাহি আলাইহি। উস্তাদুল আসাতিযা। দেশ বরেণ্য আলেমদের সফল শিক্ষক। অনন্য বুজুর্গ। নিভৃত প্রাণ মনীষী। হকের সাহসী কন্ঠস্বর। মুর্শিদে কামেল শায়খে ফেনুয়া র: এর সহবতে খাস।

শতবর্ষী জামিয়া ইউনুসিয়া বি বাড়িয়া, কিশোরগঞ্জের কুটিয়াদি, বি বাড়িয়া বগডহর, কুমিল্লার সাহেদাগোপ, লাকশাম, ভৈরবের বেগমাবাদ, টঙ্গী ও গাজীপুরসহ বিস্তৃত এলাকার কুরআনি শিক্ষক, অগণিত মানুষের দীনি রাহবার।

সকল স্মৃতি, সকল কর্মযজ্ঞ, সকল খিদমত রেখে তিনি চলে গেলেন। প্রিয় প্রভুর তরে। অনন্ত কালের সফরে। আখেরাতের পানে। জান্নাতের টানে।

বিগত বিশ বছরের বেশি সময় ধরে আব্বাজান র: গোটা রমজান ইতিকাফ করেন। মিরপুর আকবর কমপ্লেক্সে। আব্বার সবচেয়ে প্রিয় ছাত্র জগত বিখ্যাত আলেম মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন ছাহেবের কাছে। কেমন যেন প্রিয় ছাত্রের হৃদয় কোড়ে প্রিয় শিক্ষকের ইতিকাফ।

এবারো গেলেন। গত রবিবার। রোজার আগের দিন। আজকের এই দিনে। আমি নিজে সিএনজি ঠিক করে দিলাম। আব্বাজান গেলেন। প্রথম রোজা রাখলেন। তারাবি পরলেন। রাত এগারোটার পর পর্যন্ত নানাজনের সাথে দীনি বিভিন্ন বিষয়ে কথা সারলেন।

তারপর। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে অভ্যাসমাফিক ডান কাত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। চিরদিনের জন্য। ইতিকাফ অবস্থায়। মাদরাসার পরিবেশে। রোজার শেষে তারাবি পড়ার পরে। তাহাজ্জুদের অপেক্ষায়। আব্বাজান চলে গেলেন চিরদিনের জন্যে।

আমি অধম আব্বার একমাত্র সন্তান। আমার আর কোন ভাই-বোন নেই। তাই আব্বার সাথেই ছিল আমার সবচেয়ে বেশি সম্পর্ক। আব্বাই ছিলেন আমার রাহবার। আমার শায়েখ। আমার মুর্শিদ। আমার চেতনার বাতিঘর। আমার আশার ঠিকানা। আমার দীনি চিন্তা ও কর্মের নিশানা।

আব্বাজানের বিরহে তাই আমিই সবচেয়ে বেশি বেচাইন। বেসাহারা। দিশেহারা। বাসার সবাইকে আমি সান্তনা দেই। সবাইকে সবরের কথা বলি। কাঁদতে নিষেধ করি। কিন্তু আমার চোখের পাণি যে থামেনা। আমার কলিজার কান্না যে বারণ মানে না।

কাছের অনেকেই স্বাভাবিক হচ্ছেন। কান্না বুকে চেপে দোয়ায় মন দিচ্ছেন। কিন্তু আমার এখনো সম্বল সেই কান্না। আব্বার কথা গুলো মনে করে, কিতাব গুলো দেখে দেখে কেবলি কান্না।

দেশ বিদেশ থেকে অনেকেই ফোন দিচ্ছেন, তাছাল্লি জানাচ্ছেন। সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, হয়তো সেভাবে ফোন ধরতে পারছিনা। মনের অবস্থা এখনো ঠিক হয়নি। জানিনা কবে ঠিক হবে।

সকলের কাছে দোয়ার আরজি। আমার জন্য। আমাদের জান্নাতের সামিয়ানা আম্মার জন্য। আমাদের জন্য সবরের দোয়া চাই। আব্বাজানের জন্য জান্নাতের দোয়া চাই। পরিবারের জন্য নেককার হওয়ার দোয়া চাই।- (ফেসবুক থেকে নেয়া)

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ