বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
খেলাফত আন্দোলনের সাথে সমমনা ইসলামি দলসমূহের বৈঠক অনুষ্ঠিত কুরআনের মহব্বত থেকেই আমার রাজনীতিতে আসা: শায়খ নেছার আহমদ জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: আখতার হোসেন ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ নাশরুস সীরাহ’র সীরাত প্রতিযোগিতা, চলছে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়: তীব্র নিন্দা ধর্মীয় নেতাদের মহাসমাবেশে আসার পথে আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে শায়খে চরমোনাই  ইবনে শাইখুল হাদিস এর আগমন উপলক্ষে শৈলকুপায় ব্যাপক প্রস্তুতি পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বেতুয়া হুজুরের বাড়িতে ইসলাহি মাহফিল

বিশ্বের যেসব দেশে মুখ ঢাকা পড়ে যায় এমন পোষাক নিষিদ্ধ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: নিকাব পরিধান করা ইসলামের অপরিহার্য একটি বিধান। কিন্তু এ বিধান মানতে পারছে না বিশ্বের অনেকগুলো দেশের মুসলিমগণ।

ফ্রান্স প্রথম কোনো ইউরোপীয় দেশ যেখানে ২০১১ সালে জনসমক্ষে নিকাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়। তাছাড়া সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় আত্মঘাতী হামলায় আড়াই শতাধিক লোকের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর দেশটিতে পুরো মুখ ঢেকে বাইরে বেরুনোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার অফিস থেকে এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘জাতীয় নিরাপত্তার’ স্বার্থে যেকোনো মুখ ঢাকা কাপড় যা চেহারা শনাক্ত করায় বাধা তৈরি করে তা এখন থেকে নিষিদ্ধ।

এই নিষেধাজ্ঞার সমর্থকরা বলছেন, জন-নিরাপত্তার জন্য এটা জরুরি ছিল এবং এর পর দেশের বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে মেলামেশা বাড়বে।

কিন্তু মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা মুসলিম নারীদের প্রতি বৈষম্য, কারণ অনেক মুসলিম নিকাব ব্যবহারকে ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা মনে করেন।

বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদনে বলছে, নিকাব ও বোরকা নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশেই বিতর্ক রয়েছে। বেশ কটি দেশ নিকাব নিষিদ্ধ করেছে বলেও জানায় তারা।

২১০৮ সালের আগস্টে নিকাবের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ডেনমার্ক। দেশটির দুই মাস আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালের জুন মাসে নেদারল্যান্ডসের সিনেটে একটি আইন পাস করে সরকারি স্থাপনাগুলোতে (স্কুল, হাসপাতাল, গণপরিবহন) নিকাব নিষিদ্ধ করা হয়। তবে সেদেশে রাস্তায় নিকাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়নি।

অন্যদিকে, ইউরোপের কয়েকটির দেশে আবার কিছু কিছু শহর এবং অঞ্চলে নিকাব নিষিদ্ধ। ইতালির কয়েকটি শহরে এই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যেমন নোভারায় অভিবাসনবিরোধী দল নর্দার্ন লীগ ক্ষমতা নেওয়ার পর ২০১০ সালে সেখানে নিকাব পরা নিষিদ্ধ করে।

স্পেনের বার্সেলোনা শহরে ২০১০ সাল থেকে কিছু কিছু জায়গায় (মিউনিসিপাল অফিস, বাজার ও লাইব্রেরিতে) নিকাব পরা নিষিদ্ধ। সুইজারল্যান্ডে কিছু অঞ্চলেও জনসমক্ষে নিকাব পরা নিষিদ্ধ।

ভিয়েনায় জনসমক্ষে বোরকা পরার ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বিক্ষোভ আফ্রিকার চাদ, গ্যাবন, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ক্যামেরুনের উত্তরাঞ্চলে এবং নাইজারের ডিফা অঞ্চলে জনসমক্ষে নিকাব নিষিদ্ধ।

জার্মানিতে গাড়ি চালানোর সময় নিকাব পরা বেআইনি। জার্মানির সংসদে পাস করা একটি আইনে বিচারক, সরকারি কর্মচারী এবং সেনাবাহিনীতে নিকাব নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া পরিচয় শনাক্ত করার প্রয়োজন হলে নিকাব সরানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বেলজিয়ামে ২০১১ সালের জুন মাসে পর্দা দিয়ে মুখমণ্ডল পুরোপুরি ঢাকা নিষিদ্ধ করে আইন হয়েছে। পার্ক বা রাস্তায় যেকোনো পোশাক যাতে মানুষের চেহারা ঢাকা পড়তে পারে তা নিষিদ্ধ করা হয়।

অস্ট্রিয়ায় স্কুল এবং আদালতসহ অনেক জায়গায় নিকাব নিষিদ্ধ করে ২০১৭ সালের অক্টোবরে আইন করা হয়।

নরওয়েতে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে নিকাব নিষিদ্ধ করে আইন হয়েছে। বুলগেরিয়াতে ২০১৬ সালে এক আইনে নিকাব পরার জন্য জরিমানার পাশাপাশি সরকারি কল্যাণ ভাতা কমিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

লুক্সেমবুর্গে হাসপাতাল, আদালত এবং সরকারি অফিস-আদালতসহ কিছু কিছু জায়গায় পুরোপুরি মুখ ঢেকে রাখার ওপর বিধি-নিষেধ রয়েছে।

আলজেরিয়ায় ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে সরকারি কর্মচারীদের নিকাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া চীনের উইগুর মুসলিম অধ্যুষিত জিনজিয়াং প্রদেশে জনসমক্ষে নিকাব এবং লম্বা দাড়ি রাখা নিষিদ্ধ অনেক দিন ধরে। এভাবে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বান্দাদের উপর দীন মানার উপর নিষেদাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এটি/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ