বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

প্লিজ, মায়ের ধর্ষকদের শাস্তি দিন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সিরাজী এম আর মোস্তাক

নোয়াখালী জেলায় সুবর্ণচরে ৪ সন্তানের মাকে নরপশুরা ধর্ষণ করেছে। সে মা এখন হেয়, লান্থিত ও কলঙ্কিত। শুধু ধর্ষিতা মা নয়; বাংলাদেশের নারী ও সমাজ কলঙ্কিত। তিনি শুধু ৪ সন্তানের মা নন; ধর্ষক নরপিশাচ ছাড়া দেশের ১৭কোটি নাগরিক সবারই মা, বোন ও মেয়ে।

কেউ কি তার মায়ের চিহ্নিত ধর্ষকদের ক্ষমা করতে পারে? আমাদের মাননীয় দেশনেত্রী শেখ হাসিনা মায়েরই জাত। তিনি কি তার মেয়ের ধর্ষকদের ক্ষমা করতে পারেন? ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ ধর্ষিতাকে বোন সম্বোধন করে তার কপালে হাত রেখে ধর্ষকদের শাস্তির শপথ নিয়েছেন।

ধর্ষকদের শাস্তি দাবিতে অসংখ্য র‌্যালি ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখনো চিহ্নিত ধর্ষকদের শাস্তি হয়নি এবং অনেকে আটকও হয়নি। ধর্ষকদের শাস্তির সম্ভাবনা মুখ থুবড়ে পড়েছে।

শোনা যাচ্ছে, মূল ধর্ষকেরা বিদেশে পালানোর সুযোগে আছে। এভাবে বিশ্বজিৎ হত্যার বিচারে দেখা গেছে, চিহ্নিত ঘাতকদের বিদেশে পাঠিয়ে আদালতে তাদের ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে। আর সাধারণ আটককৃতদের যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছে। মায়ের ধর্ষকদের ক্ষেত্রেও কি তাই হবে?

ধর্ষিতা মায়ের কষ্ট ও বেদনা কি কারো বিবেকে নাড়া দেবে না? ধর্ষিতা মা কি এখন থেকে কলঙ্কিত জীবন যাপন করবে? দয়া করে বিষয়টি ভাবুন। ধর্ষকদের আটক বা সাজানো বিচারের নামে প্রহসন থেকে বিরত থাকুন।

তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করুন। যেন আর কোনো মা-বোন ধর্ষিতা না হয়। আর যেন বাংলাদেশের নারী ও সমাজ কলঙ্কিত না হয়।

যারা মাকে ধর্ষণ করেছে, ওরা অতি নিকৃষ্ট। সাধারণ ব্যভিচারীর চেয়েও নিকৃষ্ট। ওরা মানবতার শত্রু। ওরা মানবতা বিরোধী অপরাধী। পবিত্র কুরআনে সাধারণ ব্যভিচারেও কঠোর শাস্তি বর্ণিত হয়েছে। বিবাহিত ব্যভিচারী বা ব্যভিচারিনীর শাস্তি, পাথর মেরে হত্যা করা।

অবিবাহিতদের শাস্তি, একশ বেত্রাঘাত করা। ধর্ষণে একইসাথে ব্যভিচার ও জুলুম সংঘটিত হয়। এক্ষেত্রে শুধু ধর্ষকের শাস্তি হয়, ধর্ষিতার নয়। ধর্ষণের শাস্তি ব্যভিচারের শাস্তির চেয়ে কঠোরতর। মায়ের ধর্ষকদের ক্ষেত্রে এ শাস্তি কার্যকর করুন। তাহলে আর কোনো মা-বোন ধর্ষিতা হবে না। বাংলাদেশের নারী ও সমাজ কলঙ্কিত হবে না। ধর্ষিতা মা সমাজে হেয় হবে না। ধর্ষিতা মা ও দেশবাসী সবাই স্বস্তি পাবে।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ