আওয়ার ইসলাম: ঢাকার সেগুনবাগিচায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বুধবার মধ্যরাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় গুলির শব্দও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে গোলাগুলির খবর অস্বীকার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারের কাছে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। বাজারের কছে স্থাপিত একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে সাইনবোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকজন রাতে একটি সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে ছাত্রলীগের কয়েকজন বাধা দেয় এবং তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকজন এসে ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর হামলা চালায় এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে। গুলির শব্দও শোনা যায়। অন্যদিকে ধাওয়ার মুখে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা পালিয়ে যায়।
জানা যায়, ঘটনাস্থলের কাছে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের (দক্ষিণ) সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদের বাসা। তবে ঘটনার সময় তিনি ছিলেন না। ছাত্রলীগের একজন বলেছেন, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ছেলেরা ক্যাম্পটি ভাংতে এসেছিল।
তবে ছাত্রলীগ নেতা জুবায়েরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি বাসায় এসে শুনি, আমার সঙ্গে দেখা করতে আসা কয়েকজনের ওপর কে বা কারা হামলা চালিয়েছে এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে।
এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, ছাত্রলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তবে গুলির কোন ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।