মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
প্রথমবারের মতো টাইফয়েডের টিকা পেল মাদরাসা শিক্ষার্থীরা পর্যটকদের দৃষ্টি কাড়ে কাপ্তাইয়ের পিলারবিহীন মসজিদ নোয়াখালীর সংঘর্ষের কথা বলে প্রচারিত মসজিদের ছবির সত্যতা কতটুকু? চবির পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে কোরআন বিতরণ আবারও ‍খুলে দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত স্বাধীন দেশে থেকেও আমরা ছিলাম পরাধীন: ফয়জুল করীম নোয়াখালীতে কোরআন তালিমে হামলার প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ইসরায়েলকে কঠিন পরিণতির হুঁশিয়ারি ইয়েমেনের  সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী/ভাতা পুনঃনির্ধারণ: অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন এবার এক টাকা কেজি গরুর গোশত বিক্রির ঘোষণা এমপি প্রার্থীর!

মক্তব শিক্ষা: কিছু কথা...

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নোমান মাহফুজ

আজ থেকে ১৫/১৬ বছর পূর্বের কথা। সকাল হলে যখন মসজিদে যেতাম সেখানে মসজিদের ইমাম সাহেব হুজুর এলাকার বাচ্ছাদের কুরঅান শিক্ষা দিতেন। পাশাপাশি শিক্ষা দিতেন আদব-ক্বায়দা!

মা বাবা আত্মীয় স্বজন মুরুব্বীদের দেখলে সালাম দেওয়া, সুন্দর ভাষায় কথা বলা, সম্মান দেয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।

যখন একজন কুরআন শরিফ পড়তে পারে তখন মোটামুটি সে মক্তব পাশ করে। কথা হলো এই মক্তবে সকালের ঘুম নষ্ট করে আমরা কী শিখলাম? হ্যাঁ শিখেছি চলমান জীবনের প্রয়োজনীয় দ্বীনি শিক্ষা। আদব কায়দা তথা নীতি নৈতিকতা।

কিভাবে বড়দের দেখলে সালাম দিতে হয়, সম্মান দিতে হয়। স্পষ্ট মনে পড়ে স্কুলে যাওয়ার সময় কোন মুরব্বী দেখলে চার পাঁচজন ছাত্র থাকলে সবাই একসাথে সালাম দিতাম। রাস্তাঘাটে আদবের সাথে চলতাম। বড় ছোট পার্থক্য রেখে উঠাবসা ছিল।

মক্তবে শেখানো হয়েছে সামাজিক মূল্যবোধের শিক্ষা। আমরা জেনেছি বড়দের মুখের ওপর কথা না বলার শিক্ষা। অন্যজনের জিনিস বিনা অনুমতিতা না ধরা। আমাদের কে শুনানো হত বিভিন্ন শিক্ষা মূলক গল্প।

এই গল্পের বিষয় গুলো শিশুদের মনে চিন্তা চেতনায় রুপ নিয়ে সবাই চাইতো এই চরিত্রগুলো সবার মধ্যে ফুটে উঠুক।

বর্তমান সময়ে কতিপয় এনজিও ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান মিলে আমাদের মক্তব শিক্ষাকে ধংস করে দিয়েছে প্রায়। কেজি স্কুল নামে একটা তামাশা বের হয়েছে। আমরা যারা কেজি স্কুল পড়িনি তারা কি শিক্ষিক হতে পারেনি? হয়েছে নৈতিক।

এখন পিতা-মাতার ঘুম নাই কখন তার ছেলে মামলা খাবে আর পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যাবে। খবরের পাতা খুললেই পাতায় পাতায় কিশোর অপরাধ। এর জন্য কি মা বাবারা দায়ী নয়? ছেলে-মেয়েদের কোরআন, নামায, প্রভৃতি শিক্ষা না দিয়ে তাদেরকে জিবনের শুরু থেকে কেজি স্কুলে পাঠিয়ে দিচ্ছি!

মক্তব ভিত্তিক কুরআন শিক্ষা কি বিলুপ্তির পথে?

কেজি স্কুলগুলো শুরু হয় ভোর থেকে। এর জন্য পিতা-মাতা তাদের সন্তানদের মক্তবে দেওয়ার সময় পায় না। কেজি স্কুলগুলোতে নামেমাত্র কিছু আনাড়ি লেখকের বই দেওয়া হয়। যেগুলো আমদের মক্তব শিক্ষার বিকল্প কোনভাবেই হতে পারে না।

এখনো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি আমরা যদি সচেতন হই এবং আমাদের বাচ্চাদের শিশু জীবনে ধর্মীয় শিক্ষা দেই। তবে সমাজে শান্তি আসবেই। ধর্মীয় শিক্ষা অন্যায় কাজ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

এ জন্য আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে অতীত ঐতিহ্যে। অতীতকে নিয়ে আমদের বসবাস করতে হবে, তা না হলে বেয়াদবি থেকে শুরু করে কোন অপকর্মই রোধ করা সম্ভব হবে না! আল্লাহ তায়ালা সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন...

-আরআর

ব্যবসার নিয়ে জটিলতার দিন শেষ – বিস্তারিত জানুন


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ