বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫ ।। ১১ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২৯ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা’ ও ‘বিসমিল্লাহ’ সংযোজনের দাবি জামায়াতের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: তেহরান প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর করার পক্ষে বিএনপি, তবে... বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাচনে সভাপতি রিফাত, সম্পাদক ইনামুল তেহরান থেকে দে‌শের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ২৮ বাংলাদেশি ২৭ জুন ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, সফল করার আহ্বান  ইবনে শাইখুল হাদিসের সঙ্গে ছাত্র মজলিস ঢাবি শাখা নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ লন্ডনে খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মাহফিল সারা বিশ্বে একই দিনে রোজা-ঈদ নিয়ে বাহাসে হক্কানি আলেমদের বিজয় ১৯ জুলাই ঢাকায় জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ

‘আমরা সরকারি বেতন পাই, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো কথা বলতে পারবো না’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ: ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গানটি স্কুল পর্যায়ের প্রতিদিন গাইতে হয়। মাদরাসাগুলোতে এতদিন এটার বাধ্যবাধকতা ছিল না।

কিন্তু গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট এক আদেশের মাধ্যমে এটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সাথে বিচারপতি এও বলেছেন, কুরআনের কোথায় আছে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া যাবে না?

বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

কুড়িগ্রামের সুখদেব ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নূরুল ইসলাম মিয়া ও ঢাকার কদমতলা মাদরাসার একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক গত সপ্তাহে এ রিট আবেদনটি দাখিল করেছিলেন।

এ বিষয়ে চৌয়ারা ইসলামিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসা কুমিল্লার অধ্যক্ষ লুৎফুর রহমানের সঙ্গে কথা হয়।

জাতীয় সঙ্গীত বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে তিনি আওয়ার ইসলামকে বলেন, আমরা কুরআন হাদিসের আলো, জ্ঞান ছাত্রদের মাঝে দিয়ে থাকি। দেশের ভালোবাসার কথাও বলি।

দেশকে ভালোবাসলে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করতে হয় না। তারপর অামরা যেহেতো সরকারি কর্মচারী আমাদের সরকার যেভাবে আদেশ করবে আমরা সেভাবেই তা পালনে বাধ্য।

জাতীয় সঙ্গীতের প্রতিযোগিতার সরকারিভাবে যে আদেশ দেয়া হয়েছিলো তা কতটুকু পালন করেছেন?

দেখুন, কোনো প্রতিষ্ঠানে জোর করে ছাত্রদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানো যায় না।

আমরা উদ্যোগ নিতে চাইলেও ছাত্রদের উৎসাহ না থাকলে প্রতিযোগিতা করা যায় না। তা ছাড়া আমাদের মাদরাসা বন্ধ ছিলো তাই এ অনুষ্ঠান আমরা করতে পারি নি।

মাদরাসায় বাধ্যতামূলক সঙ্গীত গাওয়ার বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাধ্যবাধকতা নেই?

মাদরাসায় বাধ্যতামূলক করা এটা সরকারর বিষয়। কারণ আমরা সরকারের অধীনে। সরকার যেটা নিয়ম করবে পালন করতেই হবে।

আর নয় ঘাড় ব্যথা; এলো হিজামা (কাপিং থেরাপি)

তবে বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাধ্যতামূলক না থাকলে আমাদের তো কিছু করার নাই কারণ শুধু মাদরাসায় বাধ্যতামূলক  করার বিষয়টি সরকারিভাবে আসছে। আমরা আবেদন করে আনি নি।

আপনি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে জাতীয় সঙ্গীতকে কীভাবে মূল্যোয়ন করেন?

এ প্রশ্নের জবাবে প্রিন্সিপাল বলেন, দেখুন আমরা সরকারের চাকরি করি, সরকার যেভাবে বলবে সেভাবেই মানতে হবে চলতে হবে। আমরা সরকার থেকে বেতন পাই। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আমি কোনো মূল্যায়নের কথা বলতে পারবো না।

আরও পড়ুন: জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া কি জায়েজ?

 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ