মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১২ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
‘বাবরি মসজিদ একদিন পুনর্নির্মিত হবে’ ফেসবুকে এমন পোস্টে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা নির্বাচন সুষ্ঠ করতে দ্রুত বডি-ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ‘তিনবারের বিশ্বজয় হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীকে স্মরণীয় করে রাখবে’ প্রাথমিকে জনআকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী পদক্ষেপ নেবে না সরকার: ধর্ম উপদেষ্টা অভিমানী মানুষের মতোই বিদায় হাফেজ ত্বকীর এক মাসে ওমরাহ পালন ১ কোটি ১৭ লাখ মুসল্লি জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নতুন বাংলাদেশের পথ দেখাবে : প্রধান উপদেষ্টা হাফেজ ত্বকীর মৃত্যুতে মুরাদনগর উপজেলা কওমি তরুণ ওলামা পরিষদের শোক কেনিয়ায় যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, আরোহী সবার মৃত্যুর শঙ্কা বারবার বিশ্ব দরবারে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন হাফেজ ত্বকী

চোখ ভালো করতে এসেছিলেন; ফিরতে হলো চোখ রেখে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ: কথা ছিল চোখ ভালো করে দেবেন। কিন্তু হলো উল্টো। এদের কারো চোখে সামান্য সমস্যা ছিল। আশা করছিলেন সুন্দর এ পৃথিবী পুরোটা দেখবেন আরও পরিস্কার। কিন্তু এ আশা যেন গুড়েবালি।

কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় একটা করে চোখ হারিয়েছেন ২০ জন নারী-পরুষ। একই দিনে ঘটা এই অবিশ্বাস্য ঘটনায় তোলপাড় চলছে চুয়াডাঙ্গা জেলায়।

জানা যায়,  গত ৫ মার্চ চুয়াডাঙ্গা শহরের ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোমিরয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে ২৪ জন রোগীর একটি করে চোখে অপারেশন করা হয়। অপারেশনের একদিন পরই ছাড়পত্র দিয়ে রোগীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।

কিন্তু বাড়িতে ফেরার পর ওই দিনই চোখে তীব্র যন্ত্রনা শুরু হলে তারা একে একে ২০ জনই পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রাথমিক পরীক্ষায় ধরা পড়ে চোখে ইনফেকশন হয়েছে।

কিন্তু রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউ ও ভিশন আই হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু ততক্ষণে ভুল চিকিৎসায় এক চোখ নষ্টই হয়ে গিয়েছে। যে কারণে পরে অপারেশন করে চোখ তুলে ফেলা হয়।

ঘটনার পর এলাকায় চরম বিক্ষোভ দেখা দিলে অপারেশন করা ডা. মোহাম্মদ শাহীন চুয়াডাঙ্গা থেকে গা ঢাকা দেয়। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সদর উপজেলার গাইদঘাট গ্রামের প্রতিবন্ধী গোলজার হোসেন জানান, সামান্য দর্জির কাজ করে সংসার চালাতাম। বাম চোখ দিয়ে পানি পড়তো। এ কারণে খুব কষ্ট করে ৩ হাজার টাকা জোগাড় করে হাসপাতালে চোখ অপরারেশন করাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে একটি চোখ হারিয়েছি। অন্য চোখটিতেও ইনফেকশন দেখা দিয়েছে।

যারা অপারেশনের পর একটি করে চোখ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- চুয়াডাঙ্গা গাইদঘাটের গোলজার হোসেন, আলুকদিয়ার ওলি মোহাম্মদ, আলমডাঙ্গার বাড়াদী এনায়েতপুরের খন্দকার ইয়াকুব আলী, খাসকররার লাল মোহাম্মদ, আলমডাঙ্গার সোনাপট্টির আবনী দত্ত, আলমডাঙ্গা মোড়ভাঙ্গার আহমেদ আলী, হারদীর হাওয়াতন, দামুড়হুদা লক্ষ্মীপুরের তৈয়ব আলী, মদনার মধু হালদার, আলমডাঙ্গা নতিডাঙ্গার ফাতেমা খাতুন, খাস-বাগুন্দার খবিরন নেছা, জীবননগর সিংনগরের আজিজুল হক, দামুড়হুদা চিৎলার নবীছদ্দিন, মজলিশপুরের সাফিকুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা রংপুরের ইকলাস, দামুড়হুদা কার্পাসডাঙ্গার গোলজান, সদাবরীর হানিফা, আলমডাঙ্গা স্টেশনপাড়ার কুতলি খাতুন, কুটি পাইকপাড়ার উষা রাণী এবং দামুড়হুদার বড় বলদিয়ার আয়েশা খাতুন।

চোখ ধাঁধানো নীল রঙের মসজিদটি!

-রোরা


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ