বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায় যে ফলগুলো খেলাফত আন্দোলনের সাথে সমমনা ইসলামি দলসমূহের বৈঠক অনুষ্ঠিত কুরআনের মহব্বত থেকেই আমার রাজনীতিতে আসা: শায়খ নেছার আহমদ জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: আখতার হোসেন ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ নাশরুস সীরাহ’র সীরাত প্রতিযোগিতা, চলছে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়: তীব্র নিন্দা ধর্মীয় নেতাদের মহাসমাবেশে আসার পথে আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে শায়খে চরমোনাই  ইবনে শাইখুল হাদিস এর আগমন উপলক্ষে শৈলকুপায় ব্যাপক প্রস্তুতি

এই শীতে গলা ব্যথা দূর করবেন যেভাবে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাধারণত শীত-গরম সব ঋতুতেই গলা ব্যথা হতে পারে। তবে শীতকালে গলা ব্যথা একটি অন্যতম সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। তাই আসুন জেনে নেই যেসব কারণে গলাব্যথা হয়ে থাকে ও তার করণীয়।

গলা ব্যথার কারণগুলোর মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে ফ্যারিনজাইটিস ও টনসিল। মূলত ভাইরাসজনিত ফ্যারিনজাইটিস বেশি হয়ে থাকে, যা থেকে পরে ইনফেকশন হতে পারে। ফ্যারিনজাইটিস অনেক সময় একই সঙ্গে টনসিলের প্রদাহও তৈরি করে। এডেনো ভাইরাস, রাইনো ভাইরাস ও রেস্পাইরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাসের কারণে ফ্যারিনজাইটিস হয়। এ ছাড়া ইনফ্লুয়েঞ্জা ও প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জা, মিসেলস এবং ভেরিসেলা ভাইরাসের সংক্রমণেও গলা ব্যথা হতে পারে।

আবার স্ট্রেপটোকক্কাস হিমোলাইটিকাস, নন হিমোলাইটিক স্ট্রেপটোকক্কাস, নিউমোকক্কাস এবং হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়ার কারণেও ফ্যারিনজাইটিস হয়।

এ ছাড়া ঠান্ডা ও স্যাঁতসেঁতে রুমে গাদাগাদি করে বসবাস করা, তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন, অতিরিক্ত ধুলাবালি ও দূষণযুক্ত পরিবেশে কাজ করা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি কারণেও ফ্যারিনজাইটিস হতে পারে। এসবের বাইরে ডিপথেরিক ফ্যারিনজাইটিস, ভিনসেন্টস এনজাইনা, টিউবারকুলার ফ্যারিনজাইটিস, সিফিলিটিক ফ্যারিনজাইটিস ও ছত্রাক সংক্রমণজনিত ফ্যারিনজাইটিসও হয়।

গলা ব্যথায় করণীয়:

গড়গড়া: গলা ব্যথার সবচেয়ে কার্যকরী ঘরোয়া চিকিৎসা এটি। হালকা গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করতে হয়। লবণ অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে এবং গরম পানি গলা থেকে কফ পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ গুলিয়ে দিয়ে কয়েকবার গড়গড়া করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

মাফলার বা কাপড়: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গলায় একটি পাতলা মাফলার বা কাপড় হালকাভাবে পেঁচিয়ে নিলে আরাম পাওয়া যায়। বিশেষ করে শীতের সময়।

অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ: মাউথওয়াশ বেশ কিছু জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। তাই মাউথওয়াশ ব্যবহারে গলা ব্যথায় উপকার পাওয়া যায়।

তরল খাবার: হাঁচি, কাশি ও গলার ভিতর প্রচুর তরল নিঃসরণের জন্য শরীর অনেকটাই পানিশুন্য হয়ে পড়ে। তাই প্রচুর পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। তবে অবশ্যই ঠাণ্ডা পানি বর্জন করা প্রয়োজন। গলা ব্যাথায় ধোঁয়া উঠা গরম সূপ দারুণ কাজে দেয়।

লজেন্স: মেনথল, ইউক্যালিপটাস বা ফেনলসমৃদ্ধ কিছু লজেন্স আছে, যা চুষার ফলে গলা ব্যাথা ও প্রদাহ কমে যায়। এগুলো মূলত ক্লোরোসেপটিক অর্থাৎ গলায় একটা আরামদায়ক অনুভূতি এনে দেওয়ার পাশাপাশি জীবাণুনাশক হিসেবেও কাজ করে৷

ফ্রিজের খাবার এড়িয়ে চলা ও লেবু-চা পান: গলা ব্যথা হলে ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার খাওয়া উচিত নয়, এতে করে গলা ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। গলা ব্যথায় লেবু-চা খুবই উপকারী। এতে গলার কফও পরিষ্কার হয়ে যায়।

কথা কম বলা: গলা ব্যথা করলে উচ্চস্বরে কথা বলা উচিত নয়। এতে গলা ব্যথা বাড়ে। কথা কম বলা ভালো। এতে গলার বিশ্রাম হয় এবং ব্যথা তাড়াতাড়ি ভালো হয়।

বিশ্রাম: যেকোনো অসুখে প্রজাপ্ত বিশ্রাম গ্রহন করলেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠা যায়। তাই কাজ থেকে ছুটি নিন, অবকাশ যাপন করুন, দেখবেন খুব দ্রুত আপনার গলা ব্যাথা সেরে যাবে।

চিকিৎসকের পরামর্শ: শুধু গলা ব্যথাই নয়, সর্বপরি যে কোনো রোগের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াটা জরুরী।  সূত্র : বিডিলাইভ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ