শনিবার, ৩০ আগস্ট ২০২৫ ।। ১৫ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
পাগলা মসজিদের সিন্দুকে রেকর্ড ১২ কোটি টাকা ইসলামিক ল' রিসার্চ সেন্টারের ২৭তম এজিএম অনুষ্ঠিত শাপলার চেতনা আগামীর বাংলাদেশের মাইলফলক: ইবনে শাইখুল হাদিস ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের আমরণ অনশনের ঘোষণা ‘নুরের ওপর হামলায় দেশের নেতৃত্ব নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে ’ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবার নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে: মির্জা ফখরুল জুলাই আন্দোলনের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে : খেলাফত মহাসচিব ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করা হবে: ইসলামী আন্দোলন মহাসচিব শিক্ষার মানোন্নয়ন ও নববি মানস গঠনে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি: মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধের দাবি রাশেদের

ভাষাণচরে এক লাখ রোহিঙ্গা পুনর্বাসন প্রকল্প অনুমোদন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়  নোয়াখালীর ভাষাণচরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসনের জন্য ২ হাজার ৩১২ কোটি ১৫ লাখ টাকা ‘আশ্রয়ণ-৩’ নামে একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিনের একনেকের সভায় ‘আশ্রয়ণ-৩’সহ মোট ১৪টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সবগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নে ১০ হাজার ৯৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে ১০ হাজার ৪৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে এবং ৫০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নকারি সংস্থা যোগান দেবে।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতায় নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি ২০১৯ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্পের ব্যয়ের ২ হাজার ৩১২ কোটি ১৫ লাখ টাকার মধ্যে চলতি অর্থবছরেই ২ হাজার ৭১ কোটি টাকা চেয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। বাকি অর্থ ব্যয় হবে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে।

একনেকের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আপাতত সরকারি নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আশা করছি উন্নয়ন সহযোগীরা অর্থায়ন করতে এগিয়ে আসবে।

প্রকল্পের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানাধীন চরঈশ্বর ইউনিয়নের ভাষাণচরে মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১ লাখ রোহিঙ্গার আবাসনের লক্ষ্যে প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ অর্থে দ্বীপের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

জানা গেছে, প্রস্তাবিত প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে- ভূমি উন্নয়ন, দ্বীপটির নিরাপত্তার জন্য নৌবাহিনীর অফিস ও বাসভবন নির্মাণ, গুচ্ছগ্রাম ও শেল্টার স্টেশন, গুদামঘর, জ্বালানি ট্যাংক, হেলিপ্যাড, চ্যানেল মার্কিং ও মুরিং বয়, বোট ল্যান্ডিং সাইট, পেরামিটার ফেন্সিং ও ওয়াচ টাওয়ার, শোর প্রটেকশন, উপাসনালয়, বাঁধ, অভ্যন্তরীণ সড়ক, পানি নিষ্কাশন অবকাঠামো, নলকূপ ও পানি সরবরাহ অবকাঠামো, মোবাইল টাওয়ার, রাডার স্টেশন, সিসি টিভি, সোলার প্যানেল, জেনারেটর ও বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন স্থাপন ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা। এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় ১১৯টি মোটরযান ক্রয়ের প্রস্তাব রয়েছে।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ