বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫ ।। ১১ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মৃত ব্যবসায়ীর কবরে গিয়ে ক্ষমা চাইল জাপানি পুলিশ ও কৌঁসুলিরা গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা দিতে চাওয়ায় ৫ ডাক্তারকে বদলি করা হয়েছিল  গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইসরাইলে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ কোনো অদৃশ্য শক্তি সরকারকে প্রভাবিত করছে : পীর সাহেব চরমোনাই গুলশানে কবি আল মাহমুদ পাঠাগার উদ্বোধন চাঁদাবাজি নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের প্রধান বাধা: ইসলামী আন্দোলন ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণার প্রথম দিনেই হিজাব পরিহিত নারী প্রার্থীদের প্রতি আক্রোশ বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত বিএনপির শোকজের দীর্ঘ জবাব দিলেন ফজলুর রহমান জুলাই শহীদ পরিবারে সরকারি অনুদান বণ্টনে নতুন বিধিমালা জারি

আরাকানে শান্তিরক্ষী নিয়োগ করার আহবান ইসলামী ঐক্যজোটের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী ঐক্যজোট। আজ শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ শেষে পল্টন মোড় ও আশেপাশের সড়কে বিক্ষোভ করে তারা। মিছিল-সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ মুসল্লিরা অংশ নেন।

সমাবেশে প্রধান বক্তা ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা জাতিগত নিধন চালাচ্ছে। সেখানে মুসলিমদের রক্তে রঞ্জিত হয়ে গেছে। সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষিবাহিনী নিয়োগ করতে হবে এবং নিরাপদ জোন গড়ে তুলতে হবে।

ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব মুফতি আবু তৈয়ব হোসাইনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, ভাইস-চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও মহানগর সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেম, যুগ্ম-মহাসচি মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন প্রমুখ।

মুফতি ফয়জুল্লাহ আরো বলেন, আরাকান এক সময় স্বীধন রাষ্ট্র ছিল। ১৯৪৮ সালে বার্মা স্বাধীন হওয়ার পর আরাকান পরাধীন হয়ে পড়ে। তাদের উপর মগ দস্যুদের অত্যাচার-নির্যাতন শুরু হয়। তারপরও বার্মা সরকারে রোহিঙ্গারা এমপি ছিলেন। এখন তাদের বাঙালি আখ্যা দিয়ে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে। তাদের হত্যা করে লাশের স্তূপ বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। সবখানে শুধু রক্ত আর রক্ত। আমরা মুসলিমদের এ রক্ত সহ্য করতে পারছি না। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জিহাদ করা এখন ফরজ হয়ে গেছে।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আরাকানের স্বাধীনতার জন্য জিহাদের ঘোষণা দিন। দেশের কোটি জনতা লংমার্চ করে আরাকান দখল করে সেখানে পতাকা তুলে দিয়ে আসবে। স্বাধীন আরাকানই চলমান সংকটের একমাত্র সমাধান।

সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আবদুর রশীদ মজুমদার, মাওলানা যুবায়ের আহমদ, মাওলানা জসীম উদ্দীন, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা এ কে এম আশরাফুল হক, পীরজাদা সৈয়দ মো: আহসান, মাওলানা আনসারুল হক ইমরান, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, আবুল হাসিম, নুরুজ্জামান প্রমুখ।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ