রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে বেফাকের একাত্মতায় পীর সাহেব মধুপুরের অভিনন্দন ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরগিরির দায়ে জাতিসংঘের সাত কর্মীকে বন্দি হুথির ইসকন নিষিদ্ধের দাবি মুফতী নিজাম উদ্দিন আল আদনানের বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ঢাকা মহানগর কমিটি গঠিত নভেম্বরের মধ্যে গণভোটে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে: ইবনে শাইখুল হাদিস ৫ দফা দাবিতে বিভাগীয় শহরে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মজলিসে শুরার অধিবেশনে ৯ প্রস্তাব ক্ষমতায় গেলে বিএনপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃষ্টি করবে বেফাক নেতৃবৃন্দের আহ্বান ও একাত্মতা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের ৮ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত

কওমি মাদরাসায় ভর্তির সময় টিসি জরুরি; দ্রুত আইন করা উচিত: আল্লামা আনোয়ার শাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আতাউর রহমান খসরু : কওমি মাদরাসায় এখন ভর্তি মওসুম। ৭ শাওয়াল থেকে শুরু হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা। ছাত্ররা পছন্দ অনুযায়ী মাদরাসার খোঁজা শুরু করেছে। গত বছর দাওরায়ে হাদিস সরকার কর্তৃক স্বীকৃত হওয়ার পর এর নিয়ম কানুনে এসেছে কিছুটা কঠোরতা। আলোচনায় এসেছে টিসির ব্যাপারটি। কারণ ইতোপূর্বে  দেখা গেছে অনেক শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষায় শরিক না হয়েও পরবর্তী জামাতে ভর্তি হয়েছেন। আবার অনেক শিক্ষার্থী এক প্রতিষ্ঠানে ফেল করে বা  বহিস্কৃত হয়ে সহজেই ভর্তি হয়ে যাচ্ছে অন্য প্রতিষ্ঠানে। বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখেন না বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহ-সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়ার প্রিন্সিপাল আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ

ভর্তির সময় কওমি মাদরাসায় টিসি ব্যবস্থার প্রবর্তন করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় বিশ বছর ধরে বেফাককে টিসি (ট্রান্সার সার্টিফিকেট) এর কথা বলে আসছি। আমি এতে সফল হইনি। তবে এটি দ্রুত সব মাদরাসায় নিয়মে পরিণত করা উচিত।’

তিনি কিছুটা দুঃখ ও হতাশা নিয়েই বলেন, ‘বাস্তবতা হলো, আমাদের মাদরাসাগুলোর উপর কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ না থাকায় নিজেদের মর্জি মতো চলছে। এ কারণে ফেল করা ছাত্রও ভর্তি হতে পারছে অন্য মাদরাসায়।আবার একে অন্যজনের  ছাত্র ভাগিয়ে আনছে। আবার অনেক দুষ্ট শিক্ষার্থী এক মাদরাসা থেকে বহিস্কার হয়ে অন্য মাদরাসায় ভর্তি হয়ে সেখানেও পরিবেশ নষ্ট করছে।’

অন্যের ব্যাপারে হতাশ হলেও নিজের প্রতিষ্ঠানে তিনি টিসি প্রবর্তনের চেষ্টা করছেন বলে জানান তানজিমুল মাদারিসিল কওমিয়্যাহ-এর মহাপরিচালক মাওলানা আনোয়ার শাহ। তার প্রচেষ্টার চিত্রও তুলে ধরেন তিনি, ‘আমার পরিচালনাধীন ‘তানজিমুল মাদারিসিল কওমিয়্যাহ’ বোর্ডের মাদরাসাগুলোকে আমি বলেছি টিসি ব্যবস্থার অনুসরণ করতে। টিসি ছাড়া ছাত্র ভর্তি না  করতে। এ বোর্ডে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় পাঁচশো মাদরাসা রয়েছে। তারা শতভাগ মানতে না পারলেও ভর্তি হতে আসা ছাত্র-ছাত্রীর কাছে টিসি দেখতে চায়। আমার নিজের মাদরাসায়ও টিসি দেখা হয়। যদি টিসি দেখাতে না পারে তবে তার ভর্তি মওকুফ রাখা হয়।’

তিনি বলেন, ‘যারা টিসির বিরোধিতা করছে তাদের যুক্তি এতে নাকি ছাত্র কমে যাবে? যে চলে যাওয়ার সে তো যাবেই। আমি তো বিদায়ের দিন ছাত্রদের বলে দেই তোমাদের যেখানে ইচ্ছে ভর্তি হবে। কোনো সমস্যা নেই।’

তবে তিনি মনে করেন, সমস্যার মূল অন্য খানে। ‘যারা মাদরাসাগুলো চালাচ্ছে তাদের মাথায় এ বিষয়গুলো নেই। তারা এমনটি চিন্তাও করে না। আমার বাবা মাওলানা আতাহার আলী রহ. বলতেন, এক মণ ইলমের উপকার লাভ করার জন্য দশ মণ প্রজ্ঞার দরকার হয়। আমরা ইলম নিয়েই সন্তুষ্ট। জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেক-প্রজ্ঞা আছে কিনা চিন্তা করি না।’

তিনি বলেন, ‘আমি নিরাশ প্রায়। তবুও নিজের দায়বোধ থেকে কাজ করে যাচ্ছি এবং যাবো ইনশাল্লাহ।’

সমকাম বৈধতার নাটক : সমালোচনার ঝড়

ফজিলতে পাশ না করলে এবার থেকে দাওরা পরীক্ষা দেয়া যাবে না


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ