বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ধর্ষণের প্রতিবাদ করাই যেখানে অন্যায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শিরোনাম দেখে চমকানোর কিছু নেই। বরিশালের উজিরপুর এমন ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার আশোয়ার গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীর (৮) শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় ছাত্রীর বাবাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গতকাল শনিবার সকালে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।

অপরদিকে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নে কোদালধোয়া গ্রামে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় বখাটের হামলার শিকার হয়ে জখম হয়েছেন ছাত্রীর ভাই, বাবা, চাচাসহ চারজন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের আশোয়ার গ্রামের মিন্টু ফকিরের মেয়ে ও আশোয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী একই গ্রামের শামছুল হকের (৩৫) কাছে প্রাইভেট পড়ে।

গত বুধবার মেয়েটি অন্যদিনের মতো সকালে প্রাইভেট পড়তে গেলে একাকী পেয়ে শামছুল হক তার শ্লীলতাহানি করেন। মেয়েটি বাড়ি ফিরে বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানায়। তার বাবা অভিযোগ করেন, তিনি প্রাইভেট শিক্ষক শামছুল হককে ডেকে এ ঘটনার জন্য শাসিয়ে দেন। এতে শামছুল হক ক্ষিপ্ত হন।

ঘটনার দুই দিন পর গত শুক্রবার বিকেলে শামছুল হক মেয়েটির বাবাকে আশোয়ার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে ডেকে নিয়ে তাঁর সহযোগীদের নিয়ে পিটিয়ে জখম করেন। মিন্টু ফকিরের ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় গতকাল শনিবার সকালে মিন্টু ফকিরের স্ত্রী হাফিজা আক্তার বাদী হয়ে শামসুল হক হাওলাদার (৩২), পারভেজ হাওলাদার (২৫), এছাহাক মিয়া (৪৫), মো. হায়দার হাওলাদার (৩৫), বেল্লাল হাওলাদার (৩৫) ও সেলিম হাওলাদারকে (৪০) আসামি করে উজিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অপরদিকে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের কোদালধোয়া গ্রামের মন্টু সরকারের মেয়ে ও বাঁটরা প্রেমচাঁদ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী ও তার বড় বোনকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল পার্শ্ববর্তী রামশীল গ্রামের পরেশ বাড়ৈ ও শিশির বাড়ৈ।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই বোন স্থানীয় বাজারে যাওয়ার পথে বাড়ির সামনে ব্রিজের কাছে পৌঁছালে পরেশ ও শিশির তাদের পথরোধ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ও একপর্যায়ে শ্লীলতাহানি ঘটায়। ওই দিন রাত আটটার দিকে ছাত্রীদের বড় ভাই মনতোষ সরকার পরেশ ও শিশিরকে ডেকে এর প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়।

মনতোষ সরকার অভিযোগ করেন, প্রতিবাদ করলে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে পরেশ ও শিশিরের নেতৃত্বে ৮-১০ জন তাঁর ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে পিটিয়ে জখম করে। তাঁকে রক্ষায় বাবা মন্টু সরকার, কাকা মণীন্দ্রনাথ সরকার ও কাকাতো ভাই অসীম সরকার এগিয়ে এলে বখাটেরা তাঁদেরও পিটিয়ে জখম করেছে। স্থানীয় লোকজন আহত তিনজনকে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা মন্টু সরকার বাদী হয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে আগৈলঝাড়া থানায় একটি মামলা করেছেন।

মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ