 আওয়ার ইসলাম: অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন বন্ধের পে একটি প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘ। নিরাপত্তা পরিষদে ১৪-০ ভোটে পাস হওয়া ওই প্রস্তাবকে ‘লজ্জাজনক’ মন্তব্য করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল।
আওয়ার ইসলাম: অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন বন্ধের পে একটি প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘ। নিরাপত্তা পরিষদে ১৪-০ ভোটে পাস হওয়া ওই প্রস্তাবকে ‘লজ্জাজনক’ মন্তব্য করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল।
অন্যদিকে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, শপথ নেওয়ার দিনই তিনি জাতিসংঘের এ প্রস্তাব বদলে দেবেন। সংবাদ বিবিসি ও আলজাজিরার।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে শুক্রবার ১৫ সদস্য দেশের মধ্যে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র বসতি স্থাপন বন্ধের প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। তবে ভেটো দেয়নি। সাধারণত ওয়াশিংটনকে নিন্দামূলক বিভিন্ন প্রস্তাবের ক্ষেত্রে ঐতিহ্যগতভাবেই ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা যায়। প্রস্তাবের খসড়াটি উত্থাপন করেছিল মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, সেনেগাল ও ভেনিজুয়েলা।
এর আগে গত মঙ্গলবার একই প্রস্তাবের খসড়া উত্থাপন করেছিল মিসর। কিন্তু ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে পর দিন বুধবার তা প্রত্যাহার করে নেয় মিসর।
শুক্রবার পাস হওয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ১৯৬৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনি ভূখ-ে ইসরায়েল যে বসতি স্থাপন করে যাচ্ছে, তার কোনো আইনি ভিত্তি নেই।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র জানান, এ প্রস্তাব ‘ইসরায়েলি নীতির প্রতি একটি বড় আঘাত’। আর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, জাতিসংঘে পাস হওয়া ওই লজ্জাজনক ইসরায়েলবিরোধী প্রস্তাব ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করে। ইসরায়েল তা মানতে দায়বদ্ধ নয়।
তিনি বলেন, একই সময়ে যখন সিরিয়ায় পাঁচ লাখ মানুষের হত্যা রুখতে নিরাপত্তা পরিষদ কিছুই করেনি, তখন মধ্যপ্রাচ্যে সত্যিকারের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে তারা লজ্জাজনক দলবাজি করছে।
ওবামা ব্যর্থ হয়েছেন উল্লেখ করে নেতানিয়াহু বলেন, এমন এক অদ্ভুত প্রস্তাব যেন কোনো খারাপ প্রতিক্রিয়া না ফেলতে পারে, এ ল্েয মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ইসরায়েল।
এদিকে জাতিসংঘে ইসরায়েলি দূত ড্যানি ড্যানন আলজাজিরাকে বলেন, তাদের সরকার আশা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র এ প্রস্তাবে ভেটো দেবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নতুন মার্কিন প্রশাসন এবং জাতিসংঘের নতুর মহাসচিব এসে নতুন কিছু করবে।
প্রস্তাব পাসের প্রতিক্রিয়ায় এক টুইটার বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ২০ জানুয়ারির পর জাতিসংঘের অবস্থান বদলে যেতে পারে। ওই দিন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন।
ডিএস
 
                              
                           
                              
                           
                         
                              
                           
                        
                                                 
                      
                                                  
                                               
                                                  
                                               
                                      
                                         
                                      
                                         
                                      
                                        