বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

নাসিরনগরে হিন্দু মুসলিম পাহারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

b-baria11আওয়ার ইসলাম: নাসিরনগরে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে। সৃষ্ট পরিস্থিতি শান্ত করতে তৎপর শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসী। এ কাজে হিন্দু-মুসলিম মুখ্য নয়, এলাকার নিরাপত্তা বিধানে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে পাহারা বসিয়েছে। এলাকাবাসীর অঙ্গীকার, যে কোনো মূল্যে সম্প্রীতি নিশ্চিত রাখতে হবে।

চোর-ডাকাত, হিংস -বন্যপ্রাণী বা পুলিশের ভয়ে নয়, গ্রামবাসী দল বেঁধে লাঠি, বাঁশি ও টর্চলাইট হাতে রাত জেগে মন্দির এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর পাহারা দিচ্ছেন। পূর্ব অবস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠন থেকে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার উদ্যোগ। সঙ্গে রাতভর পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন। এটি এখন নাসিরনগরের প্রতি রাতের চিত্র। স্থানীয় পাহারাদার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের বণিকপাড়ায় ৮ জন করে ১২টি দল, পূর্বপাড়ায় ৮ জনের আটটি দল, দত্তপাড়ায় দশজনের সাতটি দল, মহাকালপাড়ায় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা এবং রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত দুই শিফটে ছয়জন করে ১২টি দল, কাশিপাড়ায় ১২ জন করে ছয়টি দল, ঋষিপাড়ায় গৌরমন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চৌধুরীর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের আটটি দল, পশ্চিমপাড়ায় আটজনের ১০টি দল, ঘোষপাড়ায় ১২ জনের আটটি দল, গাঙ্গলপাড়ে সাত সদস্যের ১১টি দল, আনন্দপুরে ১০ সদস্যের ছয়টি দল পাহারা দিচ্ছে।

সার্বিক পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছে আর্মড পুলিশ। শুক্রবার রাতে দত্তপাড়ায় আটজন পাহারায় ছিলেন। এর মধ্যে সাতজন মুসলমান। রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত পাহারা দেয়। এলাকায় অপরিচিত লোক দেখলে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বণিকপাড়ায় পাহারারতরা জানান, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ও জনস্বার্থে একদিন আমরা কষ্ট করতে রাজি আছি। তবে আমাদের হিন্দু মুসলমানের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। আমরা ১২ দিন পরপর প্রত্যেকেই পাহারা দিই। দাসপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, ছয়জনের একটি দল পাহারা দিচ্ছে। পালাক্রমে এখানে দল বেঁধে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত পাহারা দেওয়া হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় জনগন স্ব-স্ব উদ্যোগে এগিয়ে এসেছে। কিছু মহল্লায় প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত আবার কোথাও রাত ১১টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এলাকাবাসী পাহারা দেয়।

এফএফ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ