বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫ ।। ৬ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৭ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিদেশি ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বিশেষ সেবা চালু করল সৌদি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দক্ষিণখান থানা কমিটি গঠন গাজা সিটি দখলে অভিযানে ইসরাইল, একই পরিবারের পাঁচ জনসহ নিহত ৮১ অনুমতি ছাড়া মসজিদের ভিডিও করায় মডেলের বিরুদ্ধে মামলা ‘সৃজনশীল খেলাধুলার সংকট: আন্তর্জাতিক গবেষণার আলোকে বাচ্চাদের মেধা বিকাশে বাধা’ মাসবুক সাহু সেজদার সালামে শরিক হবে কি? নড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের দায়িত্বশীল প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জে সিএনজি পাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে উল্টে গেল প্রাইভেটকার, নিহত ৩ রাষ্ট্রীয়ভাবে শরিয়া আইন বাস্তবায়ন না চাওয়ার বিষয়ে ইসলাম কী বলে?

আতঙ্কময় সেই ১২ নভেম্বর আজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

jalocchasআওয়ার ইসলাম:  ভয়ানক  ১২ নভেম্বর আজ । ১৯৭০ সালের এইদিনে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের বিনষ্টি তান্ডবে  লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় দেশের উপকূলীয় এলাকা। রাতভর ধ্বংসযজ্ঞ আর স্বজন হারানো সেই দুঃসহ স্মৃতি আজো তাড়িয়ে বেড়ায় উপকূল বাসিন্দাদের। তবে দুর্যোগ ঝুঁকিতে থাকা এসব এলাকায় আজো নির্মিত হয়নি পর্যাপ্ত ও যথাযথ আশ্রয়কেন্দ্র। এমনকি দুর্গম চরাঞ্চলে যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নত না হওয়ায় দুর্যোগের সময় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি।

ভোলা: ৪৬ বছর আগের ভয়াবহ স্মৃতি এখনো তাড়া করে ফেরে ভোলার বাসিন্দাদের। সত্তুরের এদিনে  গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর জমকালো বিদঘুটে মেঘ আড়াল করে রেখেছিলো সূর্যকে। রাত যতই প্রগাড় হয়, প্রকৃতির বিনাশ ও বিধ্বস্ত রূপ ততোটাই  প্রকট আকার ধারণ করে। ২'শ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া ঝড় আর ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস তছনছ করে দেয় লোকালয়। সেদিনের ধ্বংসযজ্ঞে বিরানভূমিতে পরিণত হয় মেঘনা পাড়ের চর কুকরি-মুকরিসহ ভোলার অধিকাংশ এলাকা।নোয়াখালী:সত্তুরের এই দিনে ভয়াসক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয় উপকূলীয় এলাকা নোয়াখালীও। বিনাশী ও প্রলয়ী ওই প্রাকৃতিক দুর্যোগে লাখ লাখ বাড়িঘর, গাছপালা ও হাঁস-মুরগীসহ গবাদি পশু পানিতে ভেসে যায়। বেঁচে যাওয়া মানুষ পড়ে বিশুদ্ধ পানি, খাবারের তীব্র সংকটে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে হাহাকার।

এদিকে, স্বজন হারানোর স্মৃতি হৃদয়কে ভারাক্রান্ত করে তুললেও নিঝুম দ্বীপ, দমার চর, চর লক্ষ্মী ও ঢাল চরসহ জেলার অন্তত ২০টি চরের মানুষ এখনো দুর্যোগের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। এ অবস্থায়, আশ্রয় কেন্দ্রসহ বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি বাসিন্দাদের।

বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা যায়, দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানা ওই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রাণ হারায় অন্তত ৫ লাখ মানুষ।

এ বি আর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ