বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

২০০ রিয়ালের শ্রমিক এখন ২৬ প্রতিষ্ঠানের মালিক!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

kazi-sulaimanমাহিন মাহমুদ; ওমান থেকে

কাজী সুলাইমান। ১৯৯১ সালে প্রথম পা দেন ওমানের মাটিতে। পেশা শুরু হয় ২০০ রিয়ালের সামান্য একজন শ্রমিক হিসেবে। বোরকা প্রতিষ্ঠানে কাজ পান তিনি। প্রথম থেকেই আত্মপ্রত্যয় আর কঠোর পরিশ্রম, তাকে নিয়ে গেছে সফলতার উচ্চ শিখরে। স্বপ্ন দেখতে থাকেন বিশাল আকারে। যে প্রতিষ্ঠানে সামান্য কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন, পরবর্তিতে সেই প্রতিষ্ঠানেরই মালিক হন কাজী সুলাইমান।

বাঙালি অধ্যুষিত, এবং ওমানের ট্যুরিস্ট এরিয়া খ্যাত শহর 'মাতরাহ'সহ, মাবেলা, হিল, কুরুম, রুয়ি, আল খায়ের, সুমাইল এবং অন্যান্য এলাকায় তার ব্যবসার বিস্তৃতি। একে একে গড়ে তুলেছেন ২৬টি প্রতিষ্ঠান। 'জাহারাত আল খায়ের' গ্রুপের অধীনে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে। এর সবগুলোই বোরকা তৈরির প্রতিষ্ঠান।

ওমানের নারীরা সবাই বোরকা পরিধান করেন। তাদের কাছে নিত্য নতুন ডিজাইনের বোরকা অতি পছন্দনীয়। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছেন কাজী সুলাইমান। দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আধুনিক ডিজাইন সংগ্রহ করে, তৈরি করেন বোরকা। তার প্রতিষ্ঠান থেকে তৈরি হওয়া বোরকা বিশ্বের অনেক দেশেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

সম্প্রতি তিনি তার ব্যবসার পরিসরকে আরো বাড়িয়েছেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন, 'জাহারাত আল খায়ের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী'। তার প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ১৫০ শ্রমিক কাজ করছে, যাদের সবাই বাঙালি।

kazi-sulaiman2

এতোসব সফলতা এবং সম্পদের মালিক হয়েও কাজী সুলাইমান দ্বীন-ধর্মকে ভুলে যাননি। আলেম ওলামাদের তিনি অসম্ভব শ্রদ্ধা করেন। সফলতার রহস্য কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে ওমানে এলেও, প্রথম থেকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। অন্যের অধীনে কাজ করতে গেলে যা হয়। কিন্তু আমি থেমে থাকিনি। বেতনের অর্থ সঞ্চয় করা শুরু করি। যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিলাম, দুই বছরের মাথায় সেটি কিনে নেয়ার সুযোগ পাই। পরিশ্রমের মাত্রা বাড়াই। সঙ্গে ধৈর্যও। একে একে বাড়াতে থাকি ব্যবসার পরিধি। তবে সবকিছু সম্ভব হয়েছে একটি কারণে। তা হল, মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী। তিনি তাওফিক না দিলে কিছুই করা সম্ভব হত না।'

বাংলাদেশের গৌরব, মাস্কাটের এই সফল ব্যবসায়ী, কাজী সুলাইমানের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারের রাজামেহের গ্রামে। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি। সাথে দেশের রেমিটেন্সে যে বিশাল অবদান রাখছেন কাজী সুলাইমান তার জন্য আদায় করছি অসংখ্য শুকরিয়া আল্লাহর দরবারে।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ