মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬


মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে ট্রাম্পকে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

khijir_tramp

আওয়ার ইসলাম: যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সেদেশের মুসলিম নাগরিকদের বৃহত্তম সংগঠন 'আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস কাউন্সিল'।

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন মুসলিম দম্পতি খিজির খান ও গাজালা খানের ছেলে ক্যাপ্টেন হুমায়ূন কবীর ২০০৪ সালে ইরাকে যুদ্ধ চলাকালীন সময় নিহত হন। গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) এই দম্পতি ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে মুসলমান ও অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একজন স্বার্থপর এবং তার ভিতরে কোন দেশপ্রেম নেই বলে অবিহিত করেছে।

বৃহস্পতিবার ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে বক্তব্য দেয়ার সময় ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে গাজালা খানের স্বামী খিজির খান এধরণের বার্তা বলেন। এ সময় খিজির খানের পাশে গাজালা খান দাড়িয়ে ছিলেন। পরে এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলে, সম্ভবত মিসেস খানকে সেখানে কথা বলতে দেয়া হয়নি।

ABC News-এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে খিজির খান ও তার স্ত্রী গাজালা খানকে অবজ্ঞা ও অবমাননা করার চেষ্টা করছিল ট্রাম্প। এছাড়াও তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাথে এক সাক্ষাৎকারে পরোক্ষ ভাবে বলেছে, মুসলিম নারীরা মজলুম এবং তারা নিপীড়নের স্বীকার হচ্ছে। কথা বলার মতো তাদের কোন স্থান ও সুযোগ নেই। আমি খানের স্ত্রীকে আহ্বান জানাচ্ছি, তিনি যেন (ডেমোক্রেটিক জমায়েতে) বক্তব্য রাখেন।

ট্রাম্পের এধরণের অবমাননাকর মন্তব্য করার জন্য আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস কাউন্সিল এই মুসলিম দম্পতির নিকট ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এছাড়াও আমেরিকার সোশ্যাল মিডিয়ার মুসলিম নারীরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন চালু করেছে। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মুসলিম নারীরা আমেরিকান মুসলিম সৈনিকের মা গাজালা খানকে অবমাননা করার জন্য সেদেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গাজালা খানের নিকট ক্ষমা চাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মুসলিম নারীরা বলেছে: "এখন কি আমাদের ধ্বনি শুনতে পাচ্ছ"। আমরা প্রতিদিনই আমেরিকান সমাজে সেবা করছি।
এদিকে গাজালা খান এক বিবৃতিতে লিখেছেন "ওই কনভেনশন স্টেজে আমি যখন হেঁটে যাচ্ছিলাম আমার ছেলের বড় বড় ছবি আমার পেছনে। ওই সময় কিভাবে আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেছি তা শুধু একজন মা-ই বুঝতে পারবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পেরওতো সন্তান আছে, তিনি কি বোঝেননি কেন আমি কথা বলিনি?"

তিনি বলেন 'আমি কথা না বললেও ‘সারা বিশ্ব এবং পুরো আমেরিকা আমার কষ্ট বুঝতে পেরেছে’।

সূত্র: ইকনা


সম্পর্কিত খবর