বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
খেলাফত আন্দোলনের সাথে সমমনা ইসলামি দলসমূহের বৈঠক অনুষ্ঠিত কুরআনের মহব্বত থেকেই আমার রাজনীতিতে আসা: শায়খ নেছার আহমদ জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: আখতার হোসেন ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ নাশরুস সীরাহ’র সীরাত প্রতিযোগিতা, চলছে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়: তীব্র নিন্দা ধর্মীয় নেতাদের মহাসমাবেশে আসার পথে আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে শায়খে চরমোনাই  ইবনে শাইখুল হাদিস এর আগমন উপলক্ষে শৈলকুপায় ব্যাপক প্রস্তুতি পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বেতুয়া হুজুরের বাড়িতে ইসলাহি মাহফিল

দেশ ও ইসলামের জন্য আবারো যুদ্ধ করব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

gul

আওয়ার ইসলাম: ১৪ বছর বয়সী তুর্কি  কিশোরী আদবিয়ি গুল ইসমাইলুগলু। তুরস্কের অভ্যুত্থান ঠেকাতে জান বাজি রেখে রাস্তায় নেমেছিলেন। সম্প্রতি দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কিশোরী বলেন, ‘তুরস্কে ফের অভ্যুত্থানের চেষ্টা করা হলে আবারো রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করব। আমি আমার প্রিয় স্বদেশ ও আমার প্রিয় ইসলাম ধর্মের জন্য যুদ্ধ করব  এবং আমি এতে ভীত হব না। তারা দেখেছে তুর্কিরা ভয়ে পালিয়ে যায় না।’

 গত ১৫ জুলাই তুরস্কে অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীদের রুখতে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাস্তায় নেমে আহত তিনিও। এ অবস্থায়ই শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদুল এজেন্সিকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি।

গুল বলেন, সেদিন তিনি ইস্তানবুলের মেট্রোপলিটন ভবনের সামনের রাস্তায় সৈন্যদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন। বুলেট তার বাহুকে বিদ্ধ করে পিঠের দিকে দিয়ে বেরিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘টিভিতে এই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা দৃশ্য দেখা মাত্রই আমি অবাক হয়ে যাই। আমাদের কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে তা আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না।’

‘এ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা দমন করতে তুর্কি নাগরিকদের রাস্তায় নেমে আসার জন্য প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান আহ্বান জানালে আমি তৎক্ষনাৎ তাদের প্রতিরোধ করতে রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত নেই।’

‘আমার সঙ্গে আমার মা, বাবা এবং বোনও বেরিয়ে আসে। প্রধমে আমরা ইস্তাম্বুলের কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক এলাকায়  যাওয়ার পরিকল্পনা করলাম,  কিন্তু অভ্যুত্থান চেষ্টাকারী সৈন্যরা ব্যারিকেড দেয়ায় আমরা সেখানে যেতে ব্যর্থ হই।’

তিনি বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের পায়ের দিকে গুলি ছুঁড়ার পূর্বে একজন সৈনিক প্রথমে আকাশের দিকে গুলি ছুঁড়তে তাকে। পরে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকলে সৈন্যরা সরাসরি তাদের দিকে গুলি ছুঁড়ে।’

গুল বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম যে, তারা আমাদেরই সৈনিক এবং তারা আমাদের গুলি করবে না। তারপরেও তারা যদি আমাদের গুলি করে আমরাও  প্রস্তুত ছিলাম শহীদ হওয়ার জন্য এবং আমাকে ঠিক ওই মুহূর্তেই সৈন্যরা গুলি করে।  আমার বাহুতে গুলি লাগার পর আমি কিছুটা বিস্মিত হয়ে যাই। আমি এটা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে, তারা সত্যি আমাদের গুলি করতে পারে।’

‘কিন্তু পরক্ষণেই আমি স্বস্তিবোধ করি এই ভেবে যে, আমি দেশের জন্য শহীদ হতে যাচ্ছি।  প্রথমত আমি ভেবেছিলাম যে, এটা একটা প্লাস্টিক বুলেট ছিল কিন্তু আসলে এটা তা ছিল না।’

গুল জানান, তিনি দেশপ্রেমের শিক্ষা নিয়ে বড় হয়েছে এবং ফের একই ধরনের ঘটনা ঘটলে আবারো রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।

গত ১৫ জুলাই রাতের এই অভ্যুত্থান চেষ্টার ঘটনায় অন্তত ২৬৫ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ১৬১ জন গণতন্ত্রপন্থী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক। নিহত বাকিরা অভ্যুত্থানকারী। আহত হয়েছেন ২ হাজার ১০০ জন।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ