শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

Bondhuk20160214024456স্টাফ রিপোর্টার : জয়পুরহাট সদর উপজেলায় রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই যুবক নিহত হন। সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের গোপালপুর-কোঁচকুড়ি সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন মোহাম্মদ সোহেল (৩৫) ও মুনির হোসেন (৩২)। তাঁদের মধ্যে সোহেল ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ কে আজাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। আর মুনির হোসেন তাঁর সহযোগী বলে পুলিশ দাবি করেছে।

সোহেল ভাদসা ইউনিয়নের ছাওয়ালপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। মুনির হোসেন কোঁচকুড়ি গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। তাঁদের মৃতদেহ জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশের ভাষ্য, সোহেল ও মুনিরের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ফরিদ হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মশিউর রহমান ও কনস্টেবল মোস্তাফিজ আহত হন। তাঁদের জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলি, একটি ম্যাগাজিন ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

জয়পুরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-সার্কেল) অশোক কুমার পাল জানান, ভাদসা ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ কে আজাদ হত্যা মামলার আসামিরা তাঁদের গ্রামের বাড়ি কোঁচকুড়ি গ্রামে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর পায় পুলিশ। এর ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাতে জয়পুরহাট সদর থানার ওসি ফরিদ হোসেন ঘটনাস্থলের দিকে যান। গোপালপুর বাজার অতিক্রম করে কোঁচকুড়ি সড়কে ওঠামাত্র আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি ছোড়ে। ওই সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়।

খবর পেয়ে আশপাশের গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে ছুটে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে গোপালপুর-কোঁচকুড়ি সড়কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

গত ৪ জুন স্থানীয় দুর্গাদহ বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে নিজ বাড়ি কোচকুঁড়ি গ্রামে ফিরছিলেন এ কে আজাদ। পথে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা তাঁকে কুপিয়ে ও গুলি করে জখম করে। ওই সময় নয়ন চন্দ্র নামে এক পথচারীকেও গুলি করে মুখোশধারীরা। গুলিতে আহত চেয়ারম্যান আজাদ গত রোববার ভোরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ