বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ ।। ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫


'আমিরাহুদি' বন্ধুত্ব বেশ পুরোনো, শান্তিচুক্তির ফলাফল নয়: আহমাদ রাইসুনি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বেলায়েত হুসাইন>
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলারস (বিশ্ব মুসলিম ওলামা সংঘ) এর সভাপতি শায়খ আহমাদ রাইসুনি বলেছেন, ইসরায়েল-আমিরাত (আমিরাহুদি) বন্ধুত্ব বেশ পুরনো, এটি শান্তিচুক্তির ফলাফল নয়। তবে এ চুক্তিতে মুসলিমবিশ্বের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও তা নিয়ে অধিক উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণও তিনি দেখেন না বলে মন্তব্য করেছেন।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সিতে প্রকাশিত এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দুই মুসলিম দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত অতঃপর বাহরাইনের সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ চুক্তি ফিলিস্তিনি ইস্যুতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে ঠিক, তবে তা স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

শায়খ রাইসুনি মনে করেন, ফিলিস্তিনি ইস্যু একটি সংবেদনশীল ও গভীর বিষয়, আর এটি সবার আগে জনগণের ইস্যু। সুতরাং ফিলিস্তিনের যে কোনো ধরণের বিষয়ের প্রভাব ধীরে হলেও এখানে জনগণের অবস্থানই মুখ্য।

তিনি বলেন, আরব জনগণ এখনও পর্যন্ত তাদের নিজেদের বিষয়ে ‘নিয়ন্ত্রণ’ হারিয়ে খুঁজছে। তবে এতদসত্ত্বেও যেকোনো ঔপনিবেশিক শক্তি ও জায়নিস্টদের স্বেচ্ছাচারিতার বিরোধিতা ও প্রত্যাখ্যানে তারা প্রবল স্রোতধারায় রূপ নিতে পারে।

তাছাড়া ইহুদিবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ যদি সফল হয়ই তাহলে সেই সফলতা শুধু মিসর ও জর্দানে দেখা যেতে পারে। আর ফিলিস্তিনিরা তো আগে থেকেই ইসরাইলি ইহুদি কতৃক কোনঠাসা। কিন্তু আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলারদের নিয়ে গঠিত বিশ্বের বৃহৎ এই সংগঠনের প্রধানের দৃঢ় বিশ্বাস, ফিলিস্তিনি, মিসরি ও জর্দানি জনগণ ইসরাইল এবং তার আরব-অনারব মিত্রগোষ্ঠীকে প্রচন্ডভাবে প্রত্যাখ্যান করবে।

ইসরাইলের সঙ্গে আমিরাত ও বাহরাইনের সম্পর্ক প্রসঙ্গে আলেমদের অবস্থান বিষয়ে জানতে চাইলে শায়খ রায়সুনি বলেন, অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, বিশ্বের প্রভাবশালী আলেমদের মধ্যে এই সম্পর্ক সমর্থনকারীর সংখ্যা শূন্যের কোঠায়। কেননা, এখন পর্যন্ত আমরা কোন প্রকৃত ও স্বাধীন ব্যক্তিত্বের আলেমকে পাইনি, যারা এই লাঞ্চনাকর সম্পর্ক সমর্থন করেছে।

শুধু তাই নয়; বিশ্বের আলেম সম্প্রদায় এ বিষয়ে নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন বলেও তার দাবি। তিনি জানান, বিভিন্ন দেশের আলেমরা আমিরাত-বাহরাইনের এই বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন করছে। তারা এই সম্পর্কের নিন্দা জানিয়ে তা হারাম ঘোষণা করেছে।

শায়খ রায়সুনির মতে, আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমান আলেমরা ফিলিস্তিন এবং মসজিদুল আকসা প্রতিরক্ষায় বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল।

তবে বিচ্ছিন্নভাবে যেসব আলেম ইহুদিদের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং অন্যান্যদের স্বাভাবিক সম্পর্কে খারাপ কিছু দেখছে না, তারা মূলত নিজেরাই নিজেদের কথা বিশ্বাস করে না, ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষা ও পকেট ভারি করার লক্ষ্যেই তারা তা সমর্থন করছে।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ