হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই দেশে এবং বিদেশে সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছে। আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এবার তাদের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত আকারে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় কোরবানির গোশত পৌঁছে দিতে বিশাল পরিসরের একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে সংস্থাটি।
এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই মিশরের রাফা বর্ডার দিয়ে হিজরত করে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনি মুহাজিরদের জন্য গাজায় দুটি বিশাল গরু কেনা হয়েছে। প্রতিটি গরুর ওজন প্রায় ৫৫০ কেজি বলে জানানো হয়েছে। হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাওফিক পেলে আরও পশু কেনা হবে।
প্রসঙ্গত, গাজায় বোমাবৃষ্টির মধ্যেও ‘টিম হাফেজ্জী’ নিরলসভাবে কোরবানির পশু সংগ্রহ ও ঈদ সামগ্রী বিতরণে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজায় তাদের টানা সেবা কার্যক্রম আল্লাহর দয়া ও মানুষের সহযোগিতায় এখনো অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশ ও গাজায় কোরবানি প্রজেক্টের বিস্তারিত:
বাংলাদেশে ওয়াজিব কোরবানি (প্রত্যন্ত অঞ্চলে):
• পুরো গরু: ৯১,০০০ টাকা
• ৭ ভাগের ১ ভাগ: ১৩,০০০ টাকা
• একটি বড় ছাগল: ১৫,০০০ টাকা
গাজায় গোশত ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ:
৪ জুন ২০২৫ তারিখে মিসর-রাফা সীমান্ত হয়ে গাজার জন্য আবারো যাত্রা করবে হাফেজ্জী সোসাইটির প্রতিনিধি দল। গাজার মজলুম, নওমুসলিম এবং অসহায় মানুষদের মুখে হাসি ফোটাতে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে যে কেউ তার সাধ্য অনুযায়ী এই প্রজেক্টে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি আহ্বান জানিয়েছে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে এবং গাজাবাসী ও দেশের প্রান্তিক জনগণের মুখে হাসি ফোটাতে সকলে যেন এই কোরবানি প্রজেক্টে অংশগ্রহণ করুন।
এসএকে/