' রাতের ভোটের কর্তাদের পদোন্নতির তোড়জোড় ' নয়াদিগন্ত পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম। এ খবরে বলা হয়েছে, বিসিএস ৩০ তম প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা রাতের ভোটে দায়িত্ব পালন করে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে প্রাইজ পোস্টিং নিয়ে এবার উপসচিব পদোন্নতির জন্য তোড়জোর চালাচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে কর্মরতদের সাথে নিয়ে দল বেঁধে এসএসবির সদস্যদের ম্যানেজের চেষ্টা করছেন। বিসিএস ৩০তম প্রশাসন ক্যাডারের ২৭৭ জন কর্মকর্তাকে ২০১২ সালে নিয়োগ দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। এই কর্মকর্তাদের বেশির ভাগই রাতের ভোটের কারিগর। ২০১৮ নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করে রাতেই ভোট সম্পন্ন করেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে এই কর্মকর্তারাই ভোল পাল্টিয়ে নিজেদের এখন বঞ্চিত দাবি করতে শুরু করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটিএ খবর প্রকাশ করেছে। ' আন্দোলনে স্থবির এনবিআর আমদানি - রপ্তানি ব্যাহত ' সমকাল পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম। আজ বাংলাদেশের বেশিরভাগ পত্রিকার প্রথম পাতায় রাজস্ব কর্মকর্তা - কর্মচারীদের চলমান শাটডাউন কর্মসূচির সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। দৈনিক সমকাল পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার ও চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের অপসারণের দাবিতে সারাদেশে কর্মকর্তা - কর্মচারীরা 'শাটডাউন' এবং রাজধানীতে 'মার্চ টু এনবিআর' কর্মসূচি পালন করেছেন।আজ রোববারও কর্মসূচি পালন করা হবে। রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি আমদানি - রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হয়। চলমান পরিস্থিতিতে ১২টি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন উদ্বেগ জানিয়েছে। তাদের দাবি, আন্দোলনের কারণে শুধু পোশাক খাতেই দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। এদিকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, তাদের শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি রোববারও চলবে। তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা কর্মসূচির বাইরে থাকবে। গত ১২ই মে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্বনীতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে বিভক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে এনবিআর বিলুপ্তি রোধসহ কয়েকটি দাবিতে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন করছেন। গত ২৫শে মে অর্থ মন্ত্রণালয় ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে অধ্যাদেশটি সংশোধন করার আশ্বাস দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়। এরপর ২২শে জুন থেকে চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের মধ্যেই দুপুরে সংস্কার ঐক্য পরিষদ সংবাদ সম্মেলন করে। লিখিত বক্তব্যে পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার ও মহাসচিব সেহেলা সিদ্দিকা বলেন, দাবি আদায়ে রোববারও সারাদেশে 'শাটডাউন' ও 'মার্চ টু এনবিআর' কর্মসূচি চলবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকাল ১০টার মধ্যে এনবিআর ভবনের সামনে থাকার আহ্বান জানান তারা। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেওয়া পাঁচ হাজারের বেশি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসব লাইসেন্সের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা - কর্মী ও দলটির সমর্থক ব্যবসায়ীদের নামে। অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে জমা পড়া ও জমা না পড়া অস্ত্রের লাইসেন্সের তথ্য যাচাইয়ে এগুলোর কাগজপত্রে অসংগতি পাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের সূত্রের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে বলে এ সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। অস্ত্র জমা না দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়াও শুরু হচ্ছে। সূত্র বলেছে, সব লাইসেন্স স্থগিত করে অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনো সাত হাজারের বেশি লাইসেন্সের অস্ত্র জমা পড়েনি। বাড়ি বাড়ি গিয়েও পুলিশ এসব লাইসেন্সধারী বা লাইসেন্সের বিপরীতে থাকা অস্ত্র পায়নি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর তারা গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের অনেকে বিদেশে চলে গেছেন। ' পিআর পদ্ধতিতে ভোট ঐকমত্য না হলে গণভোট ' মানবজমিন পত্রিকার শিরোনাম। সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন দাবি করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান। সমাবেশে ১০ রাজনৈতিক দল এবং কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিও অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে অংশ নেওয়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবি করেন। সকাল থেকে শুরু হওয়া দুইপর্বের সমাবেশ শেষ হয় সন্ধ্যায়। এতে আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে অংশ নিতে ভোর থেকেই দলটির নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন। সকালেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নেতাকর্মীতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। ' ৩৪ বছর পর আবারও প্রতীক সংকটে ইসি ' কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম। এ খবরে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর পর নির্বাচন কমিশন আবারও প্রতীক সংকটে পড়েছে। ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে সংকটে পড়ে সংস্থাটি। সেসময় ১১১টি রাজনৈতিক দল ও জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রতীক বরাদ্দের আবেদন জানালে নির্বাচন কমিশনকে দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ১৪০টি প্রতীক বরাদ্দ করতে হয়। পেঁপে, পেঁয়াজ, মুলা, ফুলকপি, খাট, চেয়ার, শিলপাটা, বালতি - এসবও নির্বাচনী প্রতীকের তালিকায় স্থান পায়। পরে দলের সংখ্যা কমে এলে এবং দল নিবন্ধনের ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর নামসর্বস্ব দলের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ বন্ধ হয়। সেই সঙ্গে প্রতীকের সংখ্যাও কমে আসে। এবার আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত দলের সংখ্যাও বাড়তে চলেছে। বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল লন্ডন বৈঠকের পর সেটা কেটেছে বলে মনে করা হচ্ছিল; কিন্তু দুই সপ্তাহ যেতে না যেতেই নতুন করে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংশয় তৈরি হয়েছে বিএনপিতে। বিশেষ করে ভোটের বিষয়ে সরকারের দিক থেকে এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট কোনো বার্তা না দেওয়ায় এ নিয়ে জল্পনা - কল্পনা বাড়ছে। বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, লন্ডন বৈঠকের কোনো প্রতিফলন নির্বাচনের কমিশনের কার্যক্রমে তারা দেখছেন না। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি ও সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) নির্বাচনসহ কিছু বিষয় নতুন করে সামনে আনার চেষ্টা হচ্ছে। এটাকে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার উপাদান বলে মনে করছে বিএনপি। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তারা দীর্ঘ সময় একান্তে কথা বলেন। বিএনপির নীতি–নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা ধারণা করেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার যমুনায় এই বৈঠকে সিইসিকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরুর কথা বলবেন; কিন্তু সরকারের দিক থেকে এই বৈঠককে শুধু সৌজন্য সাক্ষাৎ বলা হয়েছে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনও কোনো বক্তব্য দেয়নি। ফলে বিএনপি মনে করছে, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের বিষয়ে সিইসিকে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি। যার ফলে প্রধান উপদেষ্টা ও সিইসির সাক্ষাতে কী আলাপ হয়েছে, তা পরিষ্কার করার আহ্বান জানায় বিএনপি। এ বিষয়ে গত শুক্রবার বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, "যদি উভয় পক্ষ থেকে জাতির সামনে বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়, তাহলে আমরা আশ্বস্ত হই।" ' বিজয় সরণিতে ভেঙে ফেলা 'মৃত্যুজয়'র স্থলে 'গণমিনার' হচ্ছে ' সংবাদ পত্রিকার প্রথম পাতার একটি শিরোনাম। রাজধানীর বিজয় সরণিতে পাঁচ অগাস্ট অভ্যুত্থানের দিন ভেঙে ফেলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য 'মৃত্যুঞ্জয়'- এর আশপাশের স্থাপনাও ভেঙে ফেলা হয়েছে; সেই জায়গায় জুলাই শহীদদের স্মরণে 'গণমিনার' নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী মাসেই (জুলাই) নতুন ভাস্কর্য তৈরির কাজ শুরু হবে। সেজন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দিনব্যাপী বিজয় সরণির ওই ভাস্কর্য ঘিরে বানানো 'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ'- এর সাতটি দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় গত বছরের পাঁচ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুর ওই ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়। এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলায় সেটি 'অগোছালো' অবস্থায় ছিল। এ কারণে ওই স্থানটি 'পরিষ্কার' করা হয়েছে। 'মূল ভাস্কর্যটি ভেঙে' ফেলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওইদিনের আক্রমণের কারণে বাকি যেগুলো ছিল সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এটা এভাবে ফেলে রেখে কোনো লাভ নেই। সেখানে নতুন কিছু যদি করা যায়। সেজন্য তারা জায়গাটা পরিষ্কার করছেন। ভাস্কর্যের জায়গায় দেশের রাজনীতির ইতিহাস জুলাইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন আরেকটা ভাস্কর্য করার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, জুলাই, বিজয়, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস সবগুলোকে মিলিয়েই কিছু একটা হবে। এখানে যেমন 'স্কাল্পচার' ছিল তেমনই আরেকটা 'স্কাল্পচার' হবে। ' আবারো ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিচ্ছে সরকার ' বণিক বার্তা পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম। আওয়ামী লীগ আমলে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ফেব্রুয়ারিতে ৭৬৪ জনকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। গত দেড় দশকে বঞ্চিত আরো সাত শতাধিক কর্মকর্তার পদোন্নতির আবেদন পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি উচ্চ আদালতে রিটের রায় বাস্তবায়নে আরো অর্ধশতাধিক কর্মকর্তার ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির বিষয়ে যাচাই - বাছাই কার্যক্রম চলছে বলে জানা গেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বঞ্চিত আরো ৭৭৬ কর্মকর্তার ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির আবেদন পুনর্বিবেচনা করছে সরকার। দুই - একদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। হাইকোর্টে রিটের রায় বাস্তবায়নে বিবেচনা করা হচ্ছে আরো ৫১ কর্মকর্তার বিষয়টিও। এ কার্যক্রম অবশ্য চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয়েছে, যা শেষ হতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বণিক বার্তাকে বলেন, " ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির আবেদন কমিটির মাধ্যমে রিভিউ করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত দুটি কমিটি হয়েছে। একটির কাজ শেষ, আরেকটি কাজ শুরু করেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এখানে সাচিবিক দায়িত্ব পালন করছে। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে আমরা প্রজ্ঞাপন আকারে তালিকা প্রকাশ করব।" ' Trade thru ports halts on Day 1 ' দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রথম পাতার এ শিরোনামের অর্থ 'এনবিআর ধর্মঘটে প্রথম দিনে বন্দর দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ।' গতকাল ধর্মঘট প্রত্যাহারের জন্য সরকারের আহ্বান এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি অমান্য করেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা সম্পূর্ণ কর্মবিরতি ঘোষণা করলে দেশজুড়ে আমদানি - রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ধর্মঘটের ফলে কাস্টমস, ভ্যাট এবং আয়কর অফিসের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। যার ফলে রাজস্ব আদায় আরও ধীর হয়ে যায়, যা ইতোমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এই ঘাটতির ফলে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসা - বাণিজ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সংগঠন এবং ব্যবসায়িক নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে সরকারের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। ঢাকায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পোশাক, ওষুধ, চামড়া এবং বস্ত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতের প্রতিনিধিরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়কে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা সতর্ক করে বলেছেন এই ব্যাঘাতের কারণে শুধুমাত্র পোশাক খাতেরই ২৩০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে। সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর এবং স্থলবন্দরগুলোতে শুল্ক ছাড়পত্রে দেরির কারণে কাঁচামাল আমদানি এবং তৈরি পণ্য রপ্তানি উভয়ই স্থবির হয়ে পড়েছে। ' Consensus still elusive on some key issues ' অর্থাৎ 'গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে' নিউএইজ পত্রিকার শিরোনাম। গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে গভীর রাজনৈতিক মেরুকরণের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার সংলাপও। দোসরা জুন থেকে ২৫শে জুন পর্যন্ত কমিশন আটটি অধিবেশন করেছে। সংলাপে অংশগ্রহণকারী ৩০টি রাজনৈতিক দল কেবলমাত্র সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কারের বিষয়ে একমত হতে পেরেছিল। আইন প্রণেতারা যাতে অর্থ ও আস্থা প্রস্তাব এবং বিরোধী আইন প্রণেতাদের নেতৃত্বে নির্বাচিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ছাড়া বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারেন। তবে, ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কারের বিষয়ে কোনও পূর্ণাঙ্গ ঐকমত্য হয়নি। কারণ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক সংশোধনী এবং জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিলের বিরুদ্ধে ভোটদান থেকে আইন প্রণেতাদের বিরত রাখতে একটি ভিন্নমত তৈরি করেছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন ঐকমত্য সংলাপের জটিলতা দলগুলোর মধ্যে ফাটল আরও দৃঢ় করছে। এনএইচ/
