বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১৬ পৌষ ১৪৩২ ।। ১১ রজব ১৪৪৭


মির্জা ফখরুলের সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি, বছরে আয় ১১ লাখ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে জমা দেওয়া হলফনামায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার মোট সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেছেন ৪ কোটি ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৭১৫ টাকা। একই সঙ্গে তার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ১১ লাখ ৮৩ হাজার ১৩৩ টাকা।

নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হলফনামা বিশ্লেষণে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, মির্জা ফখরুলের নামে মোট ৫ একর কৃষি জমি রয়েছে। যার অর্জনকালীন মূল্য ৬০ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৭০ শতাংশ ও ২.১৪‌ একর জমি। যার মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে ৫১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।

পৈতৃক সূত্রে দোতলা বাড়ির অংশের মূল্য ১০ লাখ টাকা। ঠাকুরগাঁওয়ে স্বামী-স্ত্রীর নামে রয়েছে ১২ শতাংশ অকৃষি জমি, যার মূল্য মূল্য ৩৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা। ঢাকার পূর্বাচলে নিজ মালিকানায় রয়েছে ৫ কাঠা জমি, যার মূল্য আনুমানিক ৮৫ লাখ ৪ হাজার টাকা।

ভবন ও আবাসিক সম্পদের তালিকায় ঢাকায় অবস্থিত ১৯৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, যার মূল্য ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৪ শতাংশ জমি যার মূল্য ৫ লাখ টাকা।

উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডের ঠাকুরগাঁও শাখায় ৫ হাজার ২ টাকা, পূবালী ব্যাংক ঠাকুরগাঁও শাখায় ১ লাখ ৯ হাজার ৮০৪ টাকা ৫০ পয়সা এবং অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ঢাকা শাখায় ২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৭ টাকা ৪৭ পয়সা রয়েছে।

পূবালী ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখায় মির্জা ফখরুল ও তার স্ত্রীর নামে জমা রয়েছে প্রায় ২ লাখ ২৪ হাজার ১৩২ টাকা। এর পাশাপাশি এক্সিম ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৪৬৭ টাকা এবং সিটি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং হিসাবে ৩ হাজার ৪৮৫ টাকাসহ মোট ১১ লাখ ৮৩ হাজার ১৩৩ টাকা রয়েছে।

হাতে নগদ অর্থ রয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৫৮ হাজার ১১৬ টাকা ৭৭ পয়সা। আর স্ত্রীর আছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৩০ টাকা।

বিনিয়োগ ও সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে তিনি ‘দি মির্জাস প্রাইভেট লিমিটেড’র ১ হাজার ৪২৮টি শেয়ারের মালিক, যার মূল্য ১ লাখ ৪২ হাজার ৮০০ টাকা। পাশাপাশি তার স্ত্রীর নামে বিভিন্ন সঞ্চয়পত্র মেয়াদি আমানতে রয়েছে ৪৫ লাখ ১১ হাজার ৭৫০ টাকা রয়েছে।

অস্থাবর সম্পদের তালিকায় রয়েছে ২টি ব্যক্তিগত গাড়ি। এছাড়া ১০ ভরি সোনা, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী (টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার), যার মূল্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্র রয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার।

আয়ের উৎ

বার্ষিক কৃষিখাত থেকে আয় ১ লাখ ৮০০ হাজার, ব্যবসায় (হুরমত আলী মার্কেটের শেয়ার থেকে আয়) ১ লাখ ৯৭ হাজার ২৩২ টাকা, ইজাব গ্রুপের পরামর্শক হিসেবে সম্মানী ভাতা ৬ লাখ, চাকরি (দি মির্জাস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে সম্মানী ভাতা) ১ লাখ ৯৮ হাজার, অন্যান্য যে কোনো উৎস ও ব্যাংক মুনাফা থেকে আয় ৭ হাজার ৯০১ টাকা। মোট বার্ষিক আয় ১১ লাখ ৮৩ হাজার ১৩৩ টাকা।

দায়ের হয়েছিল ৫০ মামলা

হলফনামার আইনি অংশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উল্লেখ করেছেন, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মোট ৫০টি মামলা দায়ের হয়েছিল। তবে এর বেশিরভাগই আদালতের আদেশে স্থগিত, প্রত্যাহার বা চূড়ান্ত প্রতিবেদন (এফআরটি) দাখিলের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে। বর্তমানে এসব মামলার কোনোটি তার নির্বাচনে অংশগ্রহণে আইনগত বাধা নয়।

হলফনামার শেষে তিনি অঙ্গীকার করেছেন, তিনি দ্বৈত নাগরিক নন এবং সংবিধানের ৬৬(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদ সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি সম্পূর্ণ যোগ্য।

সূত্র: এপি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ