দলের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার স্মৃতিচারণ করে তার দেখানো ‘ইসলামী সমাজ গড়ার স্বপ্ন’ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার সকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আবদুল কাদের মোল্লা শাহাদাতের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি একাধারে একজন রাজনীতিবিদ, লেখক, শিক্ষাবিদ এবং গবেষক হিসেবে দেশ ও জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গিয়েছেন।
নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে তিনি লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। কলম সৈনিক হিসেবে তিনি লেখনীর মাধ্যমে মানুষের বিবেকবোধ জাগ্রত করার চেষ্টা করেছেন।
২০১০ সালের ১৩ জুলাই সরকার তাকে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে এবং পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় শাহবাগে স্থাপিত গণজাগরণ মঞ্চের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার আইন সংশোধন করে আপিল দায়ের করে। সংশোধিত আইনের ভিত্তিতে তাকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়।
জামায়াত আমির বলেন, আবদুল কাদের মোল্লা ফাঁসির আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ পাননি। এমনকি রিভিউ আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পূর্বেই তড়িঘড়ি করে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তাকে ফাঁসি দেওয়ার প্রায় দেড় বছর পর তার রিভিউ আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এসব ঘটনা থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, তিনি বিচারের নামে এক নির্মম প্রহসনের শিকার হয়েছেন!
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আবদুল কাদের মোল্লা তার ফাঁসি কার্যকরের পূর্বে বলে গিয়েছেন, সরকার আমাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দিচ্ছে। আমার শরীরের প্রতিটি ফোঁটা রক্ত এ দেশের ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে আরও অনুপ্রাণিত করবে।’ দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার রক্তের বদলা নেওয়ার জন্য তিনি ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গেছেন।
আরএইচ/