ভোলায় দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন।
শনিবার এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, শুক্রবার দুপুরে ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় সরকার প্রদত্ত জেলেদের সহায়তার গরু বিতরণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের সময় ‘সময় টেলিভিশনের’ সহযোগী সিনিয়র রিপোর্টার নাসির উদ্দিন লিটন ও ভিডিও জার্নালিস্ট উৎপল দেবনাথের ওপর স্থানীয় বিএনপি নেতা কাজী রাসেলের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় তারা গুরুতর আহত হন। আমি এ ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তারা দুর্নীতি, অনিয়ম, চাঁদাবাজি ও অপরাধের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাদের ওপর হামলা শুধু সাংবাদিকতা নয়, বাকস্বাধীনতার ওপরও নগ্ন হস্তক্ষেপ।
তিনি সরকারকে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানান।
চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, সাংবাদিকরা হলো রাষ্ট্রের স্তম্ভ। সাংবাদিকতার মাধ্যমেই সমাজ-রাষ্ট্রের অসংগতি, দুর্নীতি সম্পর্কে মানুষ জানতে পারে। অপরাধ প্রতিহত হয়।
সেজন্য একটি সভ্য ও সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক দেশে সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া কোনভাবেই সহ্য করা হয় না। বিগত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার সরকার সৎ ও নির্বিক সাংবাদিকদের নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে এবং একদল ছা-পোষা সাংবাদিক তৈরি করেছিলো।
তিনি বলেন, ২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানে স্বৈরতন্ত্রের পতনের পরে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে আশা করা হয়েছিলো। কিন্তু বিএনপি দলীয় বা বিএনপির নামধারী নানাস্তরের নেতারা সাংবাদিকদের ওপরে আগের মতো চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে এবং সাংবাদিকদের ওপরে হামলা করে তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে।
তার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হলো ভোলার দৌলতখানে সময় টিভির সাংবাদিকদের ওপরে হামলা করার ঘটনা। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছে।
এমএইচ/