শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ ।। ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৭ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
প্রশাসনিক ব্যর্থতায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি : যুবদল সভাপতি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যুব আলেম ও ওলামাদের আত্মত্যাগকে মূল্যায়ন করতে হবে আপনাদেরকে মানুষ পালানোর সুযোগও দেবে না, বিএনপিকে বৈষম্যবিরোধীর নেতা ক্ষমতার জন্য নয়, গণতন্ত্র উদ্ধারে পাগল হয়েছে বিএনপি: গয়েশ্বর নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও বাড়ছে দুর্ভোগ কিসাসই এসব কসাইয়ের সমাধান: শায়খ আহমাদুল্লাহ পশ্চিম তীরে মার্কিন যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল ইসরাইলিরা একটানা বসে পায়ে ব্যথা? স্বস্তি পাবেন যেভাবে হজ শেষে দেশে ফিরলেন ৮৭,১০০ হাজি, মৃত্যু ৪৫ জনের দুই মাসে ৬ হাজারের বেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে কুয়েত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন সমন্বয়করা। সরকার মূল দাবি মেনে নেওয়ায় সব আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে তারা।

রোববার (২৮ জুলাই) রাতে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

এসময় তারা একটি লিখিতপত্র পাঠ করেন, এতে লেখা ছিলো, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার প্রেক্ষিতে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে অনেকেই অপ্রত্যাশিত আহত এবং নিহত হয়েছেন। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নানা সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ সকল অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি। আমাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার যা ইতিমধ্যে সরকার পূরণ করেছেন। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জর দেয়ার আহবান জানাই। সার্বিক স্বার্থে আমরা এই মূহুর্ত থেকে আমাদের কর্মসূচী প্রত্যাহার করছি।

এসময় তারা সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে আহ্বান জানান। সহিংসতা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তদন্ত করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন সমন্বয়করা।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের আগে সরকারি চাকরিতে কোটায় প্রায় ৫৬ শতাংশ নিয়োগ দেওয়া হতো। তবে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার।

সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হলো।

এ পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এরপর থেকেই সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠেন। কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে নানা স্থানে বিক্ষোভ করেন কোটাবিরোধীরা। ঢাবি ছাড়াও বিক্ষোভ হয় জাবি, জবি, রাবি, সাত কলেজসহ দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে। পরবর্তীতে নানা ঘটনার মধ্যদিয়ে এ বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ