শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্যের মায়ের ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোক

পাকিস্তানের ড্রোন-আর্টিলারি হামলায় উত্তপ্ত ভারতের ২৬ স্থান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ভারতের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় জম্মু-কাশ্মীর ও পাঞ্জাবসহ উত্তর-পশ্চিম ভারতের বিস্তৃত অঞ্চলে পাকিস্তান ২৬টি স্থানে ড্রোন ও আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে। বারামুলা থেকে ভূজ পর্যন্ত বিস্তৃত এই হামলায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন।
 
ভারত দাবি করে, গত ২৪ ঘণ্টায় পাকিস্তান প্রায় ৪০০টি তুর্কি নির্মিত “Songar” ড্রোন দিয়ে ৩৬টি স্থানে হামলা চালায় এবং ভারী কামান ব্যবহার করে গোলাবর্ষণ করে, যার ফলে কিছু সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। এর পরপরই নতুন করে ড্রোন হামলার তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন স্থানে।

হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল জম্মু, সাম্বা, পাঠানকোট, উধমপুর, নাগরোটা, বারামুলা, শ্রীনগর, আওয়ান্তিপোরা, অমৃতসর, ফিরোজপুর, ফাজিলকা, জয়সলমের, লালগড় যতন, বর্মের, ভূজ, কুয়ার বেট ও লক্ষী নালা। কাশ্মীর ও রাজস্থানের পোখরান অঞ্চলেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। শ্রীনগর বিমানবন্দর ও আওয়ান্তিপোরা বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং সব ড্রোন হুমকি মোকাবিলায় অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম ব্যবহার করছে। এলওসি'র কাছে পাকিস্তানী বাহিনীর একাধিক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আকাশে একাধিক ড্রোন ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে এবং বিস্ফোরণ ও অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান ছোড়ার শব্দ শুনতে পাওয়া গেছে। নিরাপত্তার জন্য অনেক জেলায় ব্ল্যাকআউট জারি করা হয় এবং সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করা হয়।

ফিরোজপুরের খাই ফেমে কে গ্রামে একটি বিস্ফোরণে তিনজন আহত হয়েছেন, যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রী বলেন, “পাকিস্তান বেসামরিক উড়োজাহাজকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং উপাসনালয়ের ওপর হামলা চালিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক নিয়মের লঙ্ঘন।”

উইং কমান্ডার বিয়োমিকা সিং জানান, ভারত পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের চারটি এয়ার ডিফেন্স ঘাঁটিতে সশস্ত্র ড্রোন হামলা চালায়, যার মধ্যে একটি রাডার ধ্বংস করে দেওয়া হয়।

তিনি জানান, “টাংধার, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার, রাজৌরি, অখনুর এবং উধমপুরে হামলায় আমাদের সেনাদের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে পাকিস্তান আরও বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে।”

কলোনেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, “সীমান্তের কাছাকাছি বেসামরিক বিমান ব্যবহারের মাধ্যমে পাকিস্তান ঝুঁকিপূর্ণ ও দায়িত্বহীন আচরণ করেছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানালেও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের নিরাপত্তা বজায় রাখতে সংযম দেখিয়েছে।”

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ