বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২ পৌষ ১৪৩২ ।। ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ঋণ মুক্তির দোয়া কখন-কীভাবে পড়বেন? মনোনয়ন না পেয়ে এবি পার্টিতে যোগ দিলেন জমিয়ত একাংশের নেতা বিজয় দিবসে খুলনা নগরীতে ইসলামী আন্দোলনের বিজয় র‍্যালি ও সমাবেশ বিজয় দিবসে বিভিন্ন উপজেলায় ইসলামী আন্দোলনের আলোচনা সভা ও র‍্যালি শান্তিতে নোবেল: মনোনয়ন পেলেন জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও গাজার চিকিৎসকেরা বাংলাদেশ চলবে নতুন ব্যবস্থার রাজনীতিতে: জামায়াত আমির শীতে গাজায় নবজাতকের মৃত্যু, ত্রাণ বাধায় মানবিক সংকট আরও গভীর শীতে এক কাপ তুলসি চা আপনার যেসব উপকার করবে একাত্তরে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, তবে তা অর্থবহ হয়নি: চরমোনাই পীর ফিলিস্তিনিসহ ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্ব মুসলিমের প্রতি ফতোয়া জারি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই (জিহাদ) করতে বিশ্বের সব মুসলিম এবং মুসলিম প্রধান দেশগুলোর জন্য ‘বিরল’ ফতোয়া জারি করেছেন খ্যাতিমান বেশ কয়েকজন ইসলামিক ব্যক্তিত্ব। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ১৭ মাস ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে দখলদাররা। এরপ্রেক্ষিতে এমন ফতোয়া জরি করা হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আই শুক্রবার (৪ এপ্রিল) এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মুসলিম স্কলার্স ইউনিয়নের (আইইউএমএস) মহাসচিব আলী আল-কারদাঘি শুক্রবার মুসলিমদের উদ্দেশ্যে জারি করা ফতোয়ায় বলেন, “গাজায় গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে সামরিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করুন।”

পূর্বে এ সংস্থাটির প্রধান ছিলেন প্রখ্যাত ও প্রভাবশালী ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ইউসুফ আল-কারদভী।

১৫ ধারার এ ফতোয়ায় আলী আল-কারদাঘি আরও বলেছেন, “গাজা ধ্বংস হওয়ার সময়ও আরব ও ইসলামিক বিশ্বের সরকারের ব্যর্থতা, ইসলামিক আইন অনুযায়ী, আমাদের গাজার নির্যাতিত ভাইদের প্রতি বড় অন্যায়।”

আলী আল-কারদাঘি মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে সম্মানিত স্কলারদের একজন। বিশ্বব্যাপী থাকা ১৭০ কোটি সুন্নি মুসলিমের মধ্যে তার এ ফতোয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

তিনি ফতোয়ায় আরও বলেছেন, “গাজার মুসলমানদের নির্মূলে শত্রুরা (ইসরায়েল) যা কারছে সেটিকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যাবে না।”

“ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা যাবে না। সুয়েজ খাল, বাব আল-মান্দাব, হরমুজ প্রণালী, অথবা অন্য কোনো স্থল, সমুদ্র বা আকাশপথ দিয়ে তাদের অস্ত্র পরিবহণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।”— যোগ করেন তিনি।

এছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আকাশ, স্থল এবং সমুদ্র পথে অবরোধ আরোপের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। তার এ ফতোয়াকে সমর্থন জানিয়েছেন আরও ১৪ জন ইসলামিক ব্যক্তিত্ব।

তারা বলেছেন, যেসব মুসলিম দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের ‘শান্তি চুক্তি’ আছে সেগুলো যেন পুনর্বিবেচনা বা পর্যালোচনা করা হয়। এরমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়ে যেন তিনি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মুসলিমদের ওপর হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে বাধ্য হন।

ফতোয়া হলো একটি ইসলামিক (নন-বাইন্ডিং) নির্দেশনা। যেটি বড় আলেম বা ইসলামিক ব্যক্তিত্বরা জারি করে থাকেন। সাধারণত কোরআন অথবা সুন্নাহর ভিত্তিতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সূত্র: মিডেল ইস্ট আই

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ