শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
৪০ সেকেন্ডের ঝটিকা মিছিল শেষে কারাগারে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ১২ নেতাকর্মী ‘যথেষ্ট সফলতা আছে, তবে ১৫ বছরের জঞ্জাল ১৫ মাসে পরিষ্কার করা যায় না’ ব্যাংকগুলোতে ক্যাশ নেই, চরম ভোগান্তিতে গাজার মানুষ বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগের বিরুদ্ধে ইসরাইলে ব্যাপক বিক্ষোভ শ্রমিকবান্ধব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে : মাওঃ আব্দুল আউয়াল দেশের সর্ববৃহৎ সিরাত প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত ‘যারা ভোটের জন্য বেহেশতের টিকিটের কথা বলে বেড়ায় তাদের থেকে সাবধান’ ঝটিকা মিছিল করতে গিয়ে গ্রেপ্তার আ.লীগের তিন হাজার নেতাকর্মী ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়কে নামাজ আদায় নভেম্বর থেকে নতুন পোশাক পাচ্ছে মহানগর পুলিশ

হাসান নাসরুল্লাহর জানাজায় ব্যাপক জনসমাগম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসরায়েলি হামলায় নিহত লেবাননের সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহর জানাজায় অংশ নিতে লাখ লাখ মানুষের ঢল নেমেছে। নিহতের প্রায় পাঁচ মাস পর রবিবার দেশটির রাজধানী বৈরুতে তার জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নামে।

ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েক দশকের সংঘাতের মাঝে শিয়া মুসলিম গোষ্ঠীর নেতৃত্বদানকারী নাসরুল্লাহকে হত্যার ঘটনায় ব্যাপক দুর্বল হয়ে পড়েছে হিজবুল্লাহ। ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যেও পরিবর্তন ঘটেছে।

রবিবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) হিজবুল্লাহ-নিয়ন্ত্রিত বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের একটি স্টেডিয়ামে হাসান নাসরুল্লাহর পাশাপাশি গোষ্ঠীটির নিহত অন্যান্য নেতাদের ছবি ও হিজবুল্লাহর পতাকা হাতে হাজার লোকজনকে সমবেত হতে দেখা যায়। জানাজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার প্রায় কয়েক ঘণ্টা আগেই ৫৫ হাজার আসনের ক্যামিল চেমাউন স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়াম কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় স্টেডিয়ামের বাইরেও হাজার হাজার জনতাকে ইসরায়েল-বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি, শিয়া রাজনীতিবিদ ও মিলিশিয়া কমান্ডারসহ ইরাকি একটি প্রতিনিধি দল এবং ইয়েমেনের হুথিদের প্রতিনিধি দলও জানাজায় অংশ নেন। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শত শত প্রতিনিধি হিজবুল্লাহর নিহত ওই নেতার জানাজায় অংশ নিয়েছেন। 

লেবাননের সূত্রগুলো বলেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর শীর্ষনেতার জানাজার মাধ্যমে শক্তি প্রদর্শনের লক্ষ্য রয়েছে হিজবুল্লাহর। গত বছরের যুদ্ধে হিজবুল্লাহর বেশিরভাগ নেতা ও হাজার হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ লেবাননের বেশিরভাগ এলাকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

সিরিয়ায় হিজবুল্লাহর মিত্র বাশার আল-আসাদের পতনে গোষ্ঠীটির ওপর ইসরায়েলি হামলার প্রভাব ভয়াবহ হয়েছে। ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠীর সামরিক ও অন্যান্য রসদ সরবরাহের অন্যতম প্রধান পথ ছিল সিরিয়া।

প্রায় পাঁচ মাস আগে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হাসান নাসরুল্লাহকে ১৯৯৭ সালে হিজবুল্লাহর পক্ষে লড়াইয়ের সময় প্রাণ হারানো তার ছেলে হাদির পাশে সাময়িকভাবে দাফন করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারে বিলম্ব হওয়ায় হাসান নাসরুল্লাহর জানাজা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

চুক্তি অনুযায়ী, লেবাননের দক্ষিণের বেশিরভাগ এলাকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিলেও এখনও কিছুসংখ্যক সৈন্য পাঁচটি অবস্থানে মোতায়েন রয়েছে। রবিবার লেবাননের দক্ষিণের একটি এলাকায় ব্মিান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের কর্মকাণ্ড শনাক্তের পর তাদের অবস্থান লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।

এনআরএন/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ