মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫ ।। ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১১ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ভোলায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ ও গণমিছিল  ইন্তিফাদা বাংলাদেশের আয়োজনে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত  সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল হবে: ডা. তাহের গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে উত্তরায় বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে কোরআন নিকেতন মাদ্রাসায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত গত এক বছরে অনেক সংকট ও সম্ভাবনার মধ্য দিয়ে পার করেছি : প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্রে শাপলা গণহত্যার কথা উল্লেখ না থাকায় আশরাফ মাহদীর তীব্র নিন্দা নির্বাচনের দিনকে ঈদের উৎসবের মতো করতে চাই : প্রধান উপদেষ্টা ২৪-এর স্বাধীনতা রক্ষা করতে আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত : ইবনে শাইখুল হাদিস  জুলাই শহীদদের মাগফিরাত কামনায় জমিয়তের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিনামূল্যে ৫০০ শিশুর সুন্নতে খতনা করাবে মারকাজুল ইসলামী 

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

নাজমুল হাসান সাকিব 

ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া ৫০০ শিশুর জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সুন্নতে খতনা (Circumcision) কর্মসূচির আয়োজন করেছে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আল মারকাজুল ইসলামী।

আগামী ১০ আগস্ট ২০২৫ থেকে ১৭ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে। স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত, দারিদ্র্যপীড়িত রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য এই উদ্যোগকে মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন—  অভিজ্ঞ সার্জন/প্রশিক্ষিত ডাক্তার টিম এবং নিবেদিতপ্রাণ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক।

আল মারকাজুল ইসলামী হাসপাতালের ডাইরেক্টর জেনারেল আব্দুল আহাদ খান আজহারী জানিয়েছে, প্রতিটি খতনা প্রক্রিয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে, আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে পরিচালিত হবে। খতনার পর প্রাথমিক চিকিৎসা ও ওষুধপত্রও বিতরণ করা হবে বিনামূল্যে ইনশাআল্লাহ।

স্থানীয় প্রশাসন ও ক্যাম্প কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় পরিচালিত এই কর্মসূচির মাধ্যমে শুধু ধর্মীয় দায়িত্বই নয়, বরং স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও শিশুদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চায় সংগঠনটি।

আল মারকাজুল ইসলামীর সম্মানিত চেয়ারম্যান হামজা শহিদুল ইসলাম বলেন: ‘এখানকার লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছে। এর আগেও আমাদের ত্রাণ (খাদ্যসামগ্রী), নতুন পোশাক, গ‍্যাস সিলেন্ডার, কুরবানীর পশু ইত্যাদি বিতরণ করা হয়েছে। এখন আমরা ৫০০ শিশুর সুন্নতে খতনা সম্পন্ন করতে অচিরেই ভাসানচর রওয়ানা করবো। ভবিষ্যতেও এমন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই, ইনশাআল্লাহ।’

জানা গেছে, স্থানীয় রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর মাঝে এ উদ্যোগ ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। অনেকে জানিয়েছেন, এতোদিন খরচের ভয়ে সন্তানদের খতনা করাতে পারেননি। এবার তারা আনন্দের সঙ্গেই অংশ নিচ্ছেন।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ