‘ধর্ম–বর্ণ–ভিন্নমত, সবার জন্য খেলাফত’—এই ন্যায় ও ইনসাফের আদর্শ নিয়ে আজ ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস তার ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করবে।
১৯৮৯ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রাহ.–সহ দেশের শীর্ষ আলেম-উলামা ও দ্বীনদরদী চিন্তাবিদদের নেতৃত্বে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল—৩৬ বছর পরও সেই চেতনাই সংগঠনের প্রেরণা ও শক্তি।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) আমিরে মজলিস মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এক যৌথ বিবৃতিতে দেশবাসী ও সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন—
বাংলাদেশ আজ রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক চাপে ও সামাজিক সংকটে ঘেরা। শুধু সরকার বা ক্ষমতার পরিবর্তন নয়— দুর্নীতি, বৈষম্য, দারিদ্র্য, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও নৈতিক অবক্ষয় রোধে প্রশাসনিক, বিচারিক ও সামাজিক সংস্কার জরুরি।
নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের সার্বিক কল্যাণের পথ হলো—ইসলামী মূল্যবোধ, সামাজিক ন্যায়, সহনশীলতা এবং সকল নাগরিকের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা যে ৫-দফা দাবি উত্থাপন করেছি—তা রাজনৈতিক, বিচারিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের ভিত্তি রূপে কাজ করবে বলে বিশ্বাস করি। একই দাবিতে সমমনা আট দল নিয়ে যুগপৎ কর্মসূচিও চলছে।
তাঁরা দেশবাসী, জুলাই বিপ্লবের সকল অংশীজন ও নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন— শুধু স্লোগান নয়; সচেতনতা, সংগঠন ও গণআন্দোলনের মাধ্যমে ন্যায়ভিত্তিক পরিবর্তনের পথে এগোতে হবে।
৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমরা নতুন প্রত্যয়ে ঘোষণা করছি— ‘আসুন, খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণআন্দোলন গড়ে তুলি।’
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি—জনতার ঐক্য, ইসলামী আদর্শের প্রতি আস্থা ও আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশ খুব শিগগিরই ন্যায়, ইনসাফ ও মানবিক মর্যাদাভিত্তিক একটি কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত হবে।
এলএইস/