শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

‘ভারতে মুসলমানদের অর্থনৈতিক দুর্বল করতে ওয়াক্ফ বিল তৈরি করেছে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সম্প্রতি ভারতের লোকসভায় ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল-২০২৪ পাস করে মুসলমানদের মালিকানার ভূ-সম্পত্তি দখলের চক্রান্ত করা হচ্ছে। এই বিল পাসের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।

আজ দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায় দলটি।

বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ভারতে মুসলমানদের দান করা শত শত কোটি ডলার মূল্যের ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা ও বহু বছরের পুরনো পরিচালনা পদ্ধতি সংশোধনে আনা একটি বিল সম্প্রতি লোকসভায় পাস হয়েছে। নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন, অমুসলিমদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা, কোন সম্পত্তি ওয়াকফ বলে বিবেচিত হবে, কোনটা হবে না সরকারকে তা নির্ধারণের এখতিয়ার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অথচ আল্লাহর জন্য উৎসর্গকৃত এই সম্পদগুলোর পরিচালনা ও ভোগের একমাত্র হকদার মুসলিম জনগোষ্ঠী।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওয়াকফ বিল পাসের উদ্দেশ্যই হচ্ছে ওয়াকফ আইনকে দুর্বল করে দেওয়া এবং ওয়াকফ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও ধ্বংসের পথ প্রশস্ত করা। 

খেলাফত মজলিসের আমীর ও মহাসচিব বলেন, এই আইনের মাধ্যমে মুসলমানদের মর্যাদাহানি ও সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে। এই আইন পাশ মুসলামনদের ধর্মীয় স্বকীয়তা তথা ইসলাম ধর্মের উপরও প্রচণ্ড আঘাত। আমরা ভারত সরকারকে এই সংশোধনী বিলটি অবিলম্বে বাতিলের আহ্বান জানাই।

সম্পত্তিগুলো কুক্ষিগত করার পায়তারা হচ্ছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ভারতের ওয়াকফ বোর্ডগুলোর অধীনে ৯ লাখ ৪০ হাজার একর জমি রয়েছে, যা ৬/৭শত বছর পূর্ব থেকে মুসলমানদের জন্য ওয়াকফকৃত। এসবে যথাযথ কাগজপত্র খুঁজে পাওয়া এখন দুষ্কর। কোন কোন সম্পত্তি মৌখিকভাবেই আল্লাহর জন্য ওয়াক্ফ করা হয়েছিল। এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সম্পত্তিগুলো কুক্ষিগত করার সুযোগ খোঁজা হচ্ছে ওয়াকফ বিল পাশের মাধ্যমে। 

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ