বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
চব্বিশের যুবশক্তিকে নিয়েই ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে চাই মাসনা মাদরাসার  বার্ষিক মাহফিল—আত্মশুদ্ধি ও রূহানিয়্যাতের মহামিলন সৌদিতে সভা-সমাবেশ নিয়ে কঠোর সতর্কতা বাংলাদেশ দূতাবাসের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জোহরান মামদানির প্রধান উপদেষ্টার কাছে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ দল স্মারকলিপি দেবে আজ প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে তামাক নিষিদ্ধের ঘোষণা দিল মালদ্বীপ 'বাঙ্গরাবাজার থানা’ উপজেলা হলে খুলে যাবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার হজ চুক্তি সই করতে সৌদি আরব যাচ্ছেন ধর্ম উপদেষ্টা জোটে ভোট কাটে রাজনীতির ঠোঁট ভারতের প্রেসক্রিপশনে আন্দোলন সফল হতে দেবে না জনগণ: মাওলানা ইউসুফী

আ. লীগ নিষিদ্ধ না হলে প্রয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে: রাশেদ খান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণে জাতীয় সংলাপ ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। অন্তর্বর্তী সরকার এতে রাজি না হলে প্রয়োজনে সরকার বিলুপ্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করার কথা বলেন তিনি।

সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে উত্তপ্ত হয় রাজনীতির মাঠ। যেখানে তিনি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা চলছে বলে জানান। তাছাড়া সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন। যা নিয়ে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।

এবার এই রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক ফেসবুকে একটি বার্তা দিয়েছেন। যেখানে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন। 

রাশেদ খান বলেন, আ.লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রধান উপদেষ্টাকে জাতীয় সংলাপ ডাকার আহ্বান করছি। প্রধান উপদেষ্টা যদি আগামীকালই এই সংলাপ ডাকে আগামীকালই আ.লীগ নিষিদ্ধ হবে। এখন কথা হলো, সেই সংলাপ কি ডাকা হবে?

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে দুজন ছাত্র উপদেষ্টা আছেন, তারা সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলে সংলাপ ডাকতে চাপ প্রয়োগ করুক। যদি তাদের কথা না শোনে, তাহলে পদত্যাগ করে জনতার কাতারে আসুক। তারপর জনগণ সরকারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। প্রয়োজনে এই সরকার বিলুপ্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে। সেই সরকার আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে বাধ্য থাকবে।

তিনি বলেন, সত্যিই যদি আ.লীগকে সত্যিই নিষিদ্ধ চান, তবে জাতীয় সংলাপ ডাকতেই হবে এবং এক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রাখতে হবে ছাত্র উপদেষ্টাদের। আমি দৃঢ় বিশ্বাস করি, কোন দল পাবলিক সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে গিয়ে বলতে পারবে না, আ.লীগকে নিষিদ্ধ চায় না।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সংলাপের মাধ্যমেই নিষিদ্ধ হোক গণহত্যাকারী দল আ.লীগ। আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত  রাজনৈতিক ও সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়। এবং সেটির আয়োজক হতে হবে সরকারকে। আর যদি সেটি না হয় আ.লীগ পুনর্বাসনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আজীবন থেকে যাবে দায়ী। দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি নিষিদ্ধ ইস্যুটা সমাধান না করা হয়, তাহলে ধরে নিবো নিষিদ্ধের ইস্যু জিইয়ে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়া হচ্ছে!

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ