বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫ ।। ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা  নিশ্চিত করতে হবে: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ‘ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ’ কীভাবে সংকলিত হয়, কেন গুরুত্বপূর্ণ সৌদি পৌঁছেছেন সাড়ে ৯ হাজার হজযাত্রী ‘আমরা প্রস্তুত, পরীক্ষা নিও না’ হুঁশিয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উপন্যাসে মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীত তুলে ধরেন তিনি দারুল উলূম রামপুরার কেনা জায়গা দখলের পাঁয়তারা, নির্মাণকাজে বাধা ইসলামবিরোধী নারী কমিশন নিয়ে আলোচনা করতে খতিবদের প্রতি হেফাজতের আহ্বান মে দিবসের গান, কবি মুনীরুল ইসলাম দুদকের রেকর্ড সাফল্য: ৮ মাসে ১৩ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ নারী সংস্কার কমিশন: বায়তুল মোকাররমের মিম্বর থেকে

রাগ কমানোর ইসলামী কৌশল ও আমল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নাজমুল হাসান।

রাগ এমন একটি আবেগ যা যদি নিয়ন্ত্রণে না রাখা যায়, তবে তা মানুষের দুনিয়া ও আখিরাত—দুইটাই নষ্ট করে দিতে পারে। ইসলাম রাগকে দমন করার ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের জন্য কিছু অত্যন্ত কার্যকর কৌশল ও আমল রেখে গেছেন।

১. "রাগ করো না" — রাসূল (সা.)-এর সরাসরি উপদেশ
 এক সাহাবি বারবার রাসূল (সা.)-কে বললেন, “আমায় উপদেশ দিন।”
প্রতি বার তিনি বললেন:
"লা তাগদাব" – রাগ করো না।" (সহিহ বুখারি)
 প্রতিক্রিয়া না দিয়ে ধৈর্য ধারণ করাই প্রথম পদক্ষেপ।

২. আউযুবিল্লাহ বলা (আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম)
 রাসূল (সা.) বলেছেন:
“রাগ শয়তান থেকে আসে, আর শয়তান আগুন থেকে। তোমাদের কেউ যদি রেগে যায়, তাহলে সে যেন বলে: আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম।” (আবু দাউদ)
 এই দোয়া মনের উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করে।

৩. অবস্থার পরিবর্তন করা
 রাসূল (সা.) বলেছেন:
“যদি কেউ দাঁড়িয়ে রাগ করে, সে যেন বসে পড়ে। যদি তাতেও রাগ না কমে, সে যেন শুয়ে পড়ে।” (আবু দাউদ)
 এই কৌশল মন ও শরীরকে শান্ত করে।

 ৪. ওযু করে নেওয়া
 রাসূল (সা.) বলেছেন:
“রাগ আগুনের ন্যায়। আর পানি আগুন নিভায়। তাই রেগে গেলে ওযু করে ফেলো।” (আবু দাউদ)
ঠাণ্ডা পানি ও ওযু মানসিক উত্তেজনা কমায়।

 ৫. চুপ থাকা (সাইলেন্স থেরাপি)
 রাসূল (সা.) বলেছেন:
“রাগের সময় মানুষ অনেক কথা বলে ফেলে, যা তাকে অনুতপ্ত করে। তাই রাগের সময় চুপ থাকো।” (মুসনাদ আহমদ)
 এক মুহূর্তের নীরবতা, এক জীবনের অনুশোচনা থেকে বাঁচাতে পারে।

 ৬. নিয়মিত জিকির ও দোয়া করা
 প্রতিদিন অন্তত ১০০ বার
"আস্তাগফিরুল্লাহ", "সুবহানাল্লাহ", "লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ" – এসব পাঠ করুন।
 এতে আত্মা প্রশান্ত হয়, রাগ ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে।

 ৭. রাগের সময় আখিরাত মনে করা
 নিজেকে প্রশ্ন করুন:
"এই রাগের জন্য কি আমি গুনাহ করব? নাকি জাহান্নামের পথে যাব?"
 আখিরাতের ভয় রাগ কমিয়ে দেয়।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ