শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

জুমার খুৎবা শোনার গুরুত্ব ও ফযিলত


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

II নাদিরুজ্জামান II

জুমার দিন ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাসনার দিন। এ দিনটি মুসলমানদের জন্য সপ্তাহের ধর্মীয় শিক্ষার একটি মূল উৎস। আল্লাহ তা'আলা তাঁর রাসূল মোহাম্মাদ (সা.) এর উপর জুমার খুতবার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

খুতবা শোনার গুরুত্ব:

ইসলামি শিক্ষা: খুতবার মাধ্যমে মুসলমানরা ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষালাভ করে থাকে। ইমাম সাহেবগন কোরআন ও হাদিসের বর্ণনা এবং বিভিন্ন ইসলামি বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকেন। এর মাধ্যমে অনেক অজনা বিষয়ের জ্ঞান লাভ হয়

সামাজিক সম্পর্ক: জুমার নামাজে  সর্বস্তরের মুসলমানরা একত্রিত হয় এবং খুতবা শুনে। এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের একতা ও ভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

আত্ম পরিশুদ্ধি: খুতবার মাধ্যমে মুসলমানরা তাদের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করতে পারে। ইমামের উপদেশ শুনে তারা নিজেদের জীবনকে আরও ভালোভাবে গঠন ও পরিচালিত করতে পারে।

সামাজিক সমস্যা সমাধান: ইমামরা খুতবার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের উপায় বের হয়ে আসে।

আল্লাহর স্মরণ: খুতবার মাধ্যমে মুসলমানরা আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তাঁর প্রতি ভক্তি নিবেদন করে।

আয়াত ও হাদিসের আলোকে খুতবার গুরুত্ব:

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- "হে মুমিনগণ! যখন জুমার দিন নামাজের আহ্বান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচাকেনা (দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম) ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর; যদি তোমরা জানতে।" সূরা জুমা আয়াত ৯:

রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, "যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে, জুমার নামাজের জন্য যায় এবং সামর্থ্যানুযায়ী নামাজ আদায় করে, এরপর ইমাম খুতবা শেষ করা পর্যন্ত নীরব থাকে, এরপর ইমামের সঙ্গে নামাজ আদায় করে, তার এ জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং অতিরিক্ত আরও তিন দিনের গোনাহ সমূহ মাফ করে দেওয়া হয়।" (মুসলিম শরীফ:)

খুতবার ফযিলত:

গুনাহ মাফ: যে ব্যাক্তি মনযোগ সহকারে খুতবা শুনে এবং ইমামের সাথে নামাজ আদায় করে তার গুনাহ মাফ হয়।

আল্লাহর সন্তুষ্টি: খুতবা শুনে আল্লাহ তা'আলা সন্তুষ্ট হন।

ইমান বৃদ্ধি: খুতবার মাধ্যমে ইমান বৃদ্ধি পায়।

জ্ঞান অর্জন: বিভিন্ন ইসলামি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা যায়।

সুতরাং, জুমার খুতবা মুসলমানদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাসনা। এটি ইসলামি শিক্ষা, সামাজিক সম্পর্ক, আত্মিক পরিশুদ্ধি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের একটি বড় মাধ্যম।

মুসলমানদের উচিত জুমার নামাজে সময়মত উপস্থিত হওয়া এবং ইমামের খুতবা শুনে তার উপদেশ অনুযায়ী আমল করা।

এমএন/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ