শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখতে যা বললেন জাতীয় মসজিদের খতিব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: ইন্টারনেট

ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র ও সকল পর্যায়ে মানুষের মাঝে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখতে 
সুন্দরভাবে কথা বলার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আবদুল মালেক। 

তিনি বলেছেন,সুন্দরভাবে বলা কোরআনের নির্দেশনা। এর মাধ্যমে ব্যক্তি-সমাজ-রাষ্ট্র সকল পর্যায়ে মানুষের মাঝে শান্তি-সম্প্রতি বজায় থাকবে। 
যেকোনো বিষয়ে কথা বলতে হলে ইনসাফের সাথে সুন্দরভাবে বলতে হবে। 
কাউকে ঘায়েল করা বা আক্রমণাত্মকভাবে কথা বলা অনুচিত।

শুক্রবার ( ৩ জানুয়ারি )  জুমার বয়ানে তিনি আরও বলেন, সৎকাজের আদেশ অসৎকাজ থেকে নিষেধ করার ক্ষেত্রে যে কোনো প্রকার জুলুম করা, আক্রমণাত্মক ভাবে ঘায়েল করা, কাউকে গালমন্দ করা বা তিলকে তাল বানিয়ে প্রকাশ করা গুনাহের কাজ।
সর্বদা নসিহতের নিয়তে কল্যাণকামী হয়ে সুন্দরভাবে সুন্দর কথা বলতে হবে। এর মাধ্যমেই সমাজের সংশোধন হবে।

তিনি আরও বলেন, ইনসাফের সাথে সুন্দর কথা সুন্দরভাবে বলার কারণে স্বার্থপর মানুষ যদি কষ্ট পায় তাহলে ব্যক্তির গুনাহ হবে না। কিন্তু কারো উপস্থাপনের অসুন্দর্য বা কথার মাধুর্যতায় মার্জিত ভাব না থাকার কারণে যদি কেউ কষ্ট পায় তাহলে এতে গুনাহ হবে। 
অসুন্দর কথার কারণে দূরত্ব তৈরি হয়, বিভেদ তৈরি হয়; যা অনেক সময় হাতাহাতি বা মারামারির দিকেও নিয়ে যায়। এটি কখনো মুসলমানের কাজ হতে পারে না। 

মতবিরোধপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে সতর্ক করে তিনি বলেন, বিদআতের পথে চলতে চলতে কেউ যদি আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়, তাকেও হকের পথে দাওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে আচরণ-উচ্চারণ মার্জিত হতে হবে। 
তাকে বুঝানোর জন্য দলিল প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে; কিন্তু তাকে কষ্ট দিয়ে কোন কথা বলা যাবে না। আর যাদের গোমরাহী এতটা কঠিন নয়, 
যা আহলে সুন্নাহ আল জামাত থেকে তাদেরকে বের করে দেয় না, যা বিভিন্ন মুসলিম দল-উপদলের মধ্যে হয়ে থাকে, তাদেরকে আহলে সুন্নাহল জামাতের পথে আহবানের ক্ষেত্রে আরও বেশি মার্জিত আচরণ করতে হবে। 

বিনু/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ