শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২৩ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
চীনে বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন আমি নির্বাচিত হলে ফুলবাড়িগেট শিল্পাঞ্চলকে পুনরায় প্রাণবন্ত করে তুলবো:  মাওলানা আব্দুল আউয়াল জুলাই সনদ-গণভোট : এই মুহুর্তের চ্যালেঞ্জ বিনিয়োগ আনতে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশী ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন: নৌ উপদেষ্টা যুদ্ধবিরতিতে সম্মতির পরেও সুদানের রাজধানীতে আরএসএফের ড্রোন হামলা মসজিদে রাজনৈতিক কার্যক্রম: বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহত ১ ৮ ইউনিটের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে তুলার গুদামের আগুন  গাজায় সাহায্যপণ্য সরবরাহের ওপর ইসরাইলের বিধিনিষেধ আ.লীগ জনগণকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে সহিংসতা চালাতে চায় উন্মুক্ত মাঠে সব তাফসির মাহফিল স্থগিত করলেন আজহারী

মারা গেলেন ইরাক ধ্বংসের মাস্টারমাইন্ড ডিক চেনি


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইরাক ধ্বংসের অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় ভোরে নিউমোনিয়া ও হৃদরোগজনিত জটিলতায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যু সময় তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে তার পরিবার। খবর এপির।

২০০৩ সালে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাতের লক্ষ্যে চালানো যুক্তরাষ্ট্র-ন্যাটো আগ্রাসনের অন্যতম মূল পরিকল্পনাকারী বা ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলেন চেনি। তার নেতৃত্ব ও পরামর্শেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন আসে।

ডিক চেনি রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বড় যুদ্ধেই। ১৯৯০ সালে শুরু হওয়া উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের প্রশাসনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ওই যুদ্ধের সামরিক পরিকল্পনা ও আন্তর্জাতিক জোট সমন্বয়ের দায়িত্ব ছিল তার ওপর।

এর এক দশক পর, ২০০০ সালে বুশ সিনিয়রের ছেলে জর্জ ওয়াকার বুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ডিক চেনি হন ভাইস প্রেসিডেন্ট। ২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত দু’দফা এই দায়িত্বে ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জর্জ বুশ জুনিয়রের সরকারে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন চেনি। অনেকে মনে করতেন, প্রশাসনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তার পরামর্শেই নেওয়া হতো।

চেনির মৃত্যুর পর গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ডিক ছিলেন ভদ্র, সম্মানিত ও নিবেদিতপ্রাণ জনসেবক। তিনি আমাদের সময়ের অন্যতম বুদ্ধিমান এবং দেশপ্রেমিক নেতা ছিলেন।

২০০৩ সালে ইরাকের বিরুদ্ধে ‘বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি করছে’ এই ভুয়া অভিযোগ তুলে যুদ্ধ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। চেনিই ছিলেন সেই অভিযানের মূল নীতিনির্ধারক। তবে পরে প্রমাণিত হয়, ইরাকে এমন কোনো অস্ত্রের অস্তিত্বই ছিল না। সে যুদ্ধেই সাদ্দাম হোসেনের পতন ঘটে এবং ২০০৬ সালে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ