ফিলিস্তিনের গাজার জলসীমায় ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র একটি জাহাজ প্রবেশ করেছে। এছাড়া অন্তত ২৩টি ত্রাণবাহী নৌযান গাজার উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ‘মিকেনো’ নামের একটি জাহাজ ইতোমধ্যে গাজার আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করেছে। তবে সেটি ইসরাইলি বাহিনী আটক করেছে কিনা- তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ইসরাইলি কমান্ড্রার নৌযানগুলো ঘেরাও ও স্বেচ্ছাসেবীদের ধড়পাকড় চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে কার্যকর জাহাজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪টিতে, যাদের কয়েকটি গাজার আঞ্চলিক জলসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। এই বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রথম বহর গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এই বহরে যুক্ত হয়। এছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে পরবর্তী সময়ে আরও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যুক্ত হয়। বর্তমানে বহরটিতে ৪০টি বেশি নৌযান রয়েছে।
এই নৌবহরের ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ইসরাইল। যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা। যাত্রাপথে কোনো বাধা না পেলে নৌবহরটির স্থানীয় সময় আজ (বৃহস্পতিবার) সকালেই গাজায় পৌঁছানোর কথা ছিল।
এনএইচ/