বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

ইসলাম ও আরবি শিখছে ইসরায়েলি সেনারা, কিন্তু কেন?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘আমান’-এ বড় ধরনের সংস্কার আনা হয়েছে। এখন থেকে সংস্থার সব সেনা ও কর্মকর্তাদের জন্য ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন এবং আরবি ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় গোয়েন্দা বিভাগ চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। সেই ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতেই গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল শ্লোমি বাইন্ডার নতুন এই উদ্যোগের নেতৃত্ব নিচ্ছেন।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সব কর্মকর্তাকে ইসলাম বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং অর্ধেক সেনাকে আরবি ভাষায় দক্ষ হতে হবে। হুথি ও ইরাকি উপভাষা বোঝার জন্য আলাদা কোর্সও রাখা হয়েছে। একজন জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, “আমরা এতদিন ভাষা ও সংস্কৃতির গুরুত্ব ঠিকমতো বুঝিনি। এখন থেকে গভীর পর্যবেক্ষণ আর বিশ্লেষণেই আমাদের জোর থাকবে। আমরা আরবদের মতো বানাতে চাই না, বরং সেনাদের ভাষা ও সংস্কৃতি বোঝার ক্ষমতা বাড়াতে চাই।”

এ ছাড়া, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একটি নতুন প্রশিক্ষণ বিভাগ চালু করছে, যেখানে আরবি ভাষা ও ইসলাম বিষয়ক শিক্ষা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ‘টেলেম’ নামে একটি পুরোনো শিক্ষা প্রকল্প আবার চালু করা হচ্ছে। আগে বাজেট সংকটে বন্ধ হয়ে যাওয়া এই প্রকল্পটি স্কুল পর্যায়ে আরবি ও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক বিষয় শেখাতে ব্যবহৃত হতো। গোয়েন্দা বিভাগ বলছে, এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো ভাষা ও সংস্কৃতির জ্ঞান বাড়িয়ে ভবিষ্যতের হামলা ঠেকাতে প্রস্তুত থাকা।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ