রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা

হামাসের সঙ্গে আলোচনার দাবিতে ইসরায়েলে বিক্ষোভ অব্যাহত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

গাজা উপত্যকার সিজায়া এলাকায় তিন জিম্মিকে ভুলক্রমে হত্যা করেছে দখলদার ইসরাইলি সেনারা। ধারণা করা হচ্ছে, হামাসের হাত থেকে পালাতে সমর্থ হয়েছিলেন এই তিনজন। কিন্তু দখলদার সেনাদের ভুলে করুণ মৃত্যু হয়েছে তাদের।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) এ ঘটনায় দেশটিতে বড় ধরনের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় জিম্মি মুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে ইসরাইল। শনিবার (১৬ ডিসেম্বাবর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

   
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাকে ‘অবর্ণনীয় দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন, ‘এটা দুঃখজনক ভুল।’

জিম্মি হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার রাতেই তেলআবিবে বড় ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় অনেকে নেতানিয়াহু সরকারের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে বক্তব্য দেন। জিম্মিদের মুক্ত করতে হামাসের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগে থেকেই ইসরাইলের ভেতর থেকে চাপ ছিল দেশটির সরকারের ওপর। তিন জিম্মি হত্যার ঘটনার পর এ চাপ আরও বেড়েছে।

একসঙ্গে তিন জিম্মিকে গুলি করে হত্যার ঘটনার পর বিষয়টি তদন্ত করেছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) একটি দল। তদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনের বরাতে জিম্মিদের হত্যার বিষয়টি বর্ণনা দিয়েছেন সেনাবাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

তিনি বলেছেন, ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন এক সেনা কয়েক মিটার দূরের একটি ভবন থেকে তিন ব্যক্তি বের হয়ে আসতে দেখে তখন থেকে। তাদের তিনজনের কারো শরীরেই কাপড় ছিল না। তিনজনের একজনের হাতে একটি সাদা পতাকা ছিল। তাদের তিনজনকে ওই সেনা হামাসের সদস্য মনে করেন। তিনি সন্দেহ করেন, তাদের ফাঁদে ফেলতে হামাসের সদস্যরা এভাবে বাইরে বের হয়ে আসছে। এমন চিন্তা করে কোনো দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে ওই তিনজনকে লক্ষ্য করে গুলিবিদ্ধ করেন তিনি এবং ‘সন্ত্রাসী সন্ত্রাসী’ বলে চিৎকার শুরু করেন।

ওই সেনার গুলিতে তিন জিম্মির দুইজন সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুবরণ করেন। অপরজন তখন হিব্রু ভাষায় ‘সহায়তা’ চায়। কিন্তু কোনো কথা না শুনেই ওই জিম্মিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনা। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির চাপ বাড়ছে ইসরায়েলের নাগরিকদের।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ