ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে আসামি মো. ইসমাইল শেখকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীমা পারভিন এই রায় দেন।
একই সঙ্গে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সেই অর্থ আদায় করে জেলা কালেক্টরকে ভুক্তভোগী নারীকে দিতে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এই রায় দেন আদালত। এসময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আসামি মো. ইসমাইল শেখ ফরিদপুরের সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চতর খাড়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১ আগস্ট ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এলাকায় সালিশ বৈঠকে আসামি ইসমাইল ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেন। দোষী সাব্যস্ত হলে সে সালিশ বৈঠক থেকে কৌশলে পালিয়ে যান।
পরে ভুক্তভোগী ২০২৩ সালের ৬ জুন বিকেলে নিজ বাড়িতে মৃত সন্তান জন্ম দেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে পুলিশ নবজাতকের মরদেহ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
এ ঘটনায় মেয়েটির মা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় ২০২৩ সালের ৯ জুন একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া রতন বলেন, আসামি ইসমাইলকে ধর্ষণের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জেলা কালেক্টর আসামির জমি-জমা বিক্রি করে ভুক্তভোগীকে অর্থদণ্ডের টাকা প্রদান করবেন।
তিনি বলেন, আদালতে আমরা সর্বোচ্চ বিচার পেয়েছি। এই রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ খুশি হয়েছি।
. এনএইচ/