বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
দেশবাসীর প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরের সতর্ক বার্তা সুখবর পেলেন প্রাথমিকের ৬৫ হাজার ৫০২ প্রধান শিক্ষক পাকিস্তানে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে বাংলাদেশি ২ তরুণ নিহত মারকাযুল উলূম খুলনা'র ২০ তম বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল শুক্রবার  অনশনরত তারেকের পক্ষে সংহতি বিএনপি’র গুলি খেতে না চাইলে এনসিপিতে আসুন: হাসনাত আবদুল্লাহ ‘উত্তেজনা কমাতে’ ইস্তাম্বুলে ফের আলোচনায় বসছে পাক-আফগান জাতিসংঘে আওয়ামী লীগের চিঠি দেওয়ায় কোনো কাজ হবে না: তৌহিদ হোসেন ৭২র সংবিধান বাতিল জুলাই বিপ্লবের অন্যতম প্রেরণা: ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্ট প্রকাশিত হয়েছে আবুল ফাতাহ কাসেমী’র নতুন বই ‘ইসলাম ও কাদিয়ানি ধর্ম’ 

ফলাফলেও ‘ফকির’ ফকিরহাট মহিলা কলেজ!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জাভেদ হোসেন, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার একটি কলেজ থেকে টানা দুই বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েও পাস করেননি কোন শিক্ষার্থী। বুধবার সকালে ওই কলেজ সূত্রে এই ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। একজনও পাস না করা ওই প্রতিষ্ঠানের নাম ‘ফকিরহাট মহিলা কলেজ’।

সূত্র জানায়, বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা নিয়ে ২০০০ সালে চালু করা হয় জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার ফকিরহাট মহিলা কলেজ। মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ থেকে প্রতিষ্ঠানটি আবারো ২০১৬ সালে চালু করা হয়। সর্বশেষ ওই কলেজ থেকে ২০২৪ সালে দুজন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এইচএসসি পরীক্ষায় চূড়ান্ত ফলাফলে তাদের কেউই পাস করেননি। ওই দুই পরীক্ষার্থীর দুজনই মানবিক বিভাগ থেকে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে একজন নিয়মিত ও একজন অনিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলেন।

এর আগে ২০২৩ সালেও একই কলেজ থেকে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েও ফেল করেছেন।

ফকিরহাট মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবার রশিদ মোবাইল ফোনে বলেন, ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এই কলেজ থেকে দুইজন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তারা দুজনই ফেল করেছে। তারা দুজনই মানবিক বিভাগের। তাদের মধ্যে একজন নিয়মিত এবং একজন অনিয়মিত শিক্ষার্থী ছিল।

টানা দুইবার পরীক্ষার্থীরা অকৃতকার্য হওয়া প্রশ্নে অধ্যক্ষ বলেন, বর্তামনে শিক্ষার্থী ফেল করার বড় কারণ প্রতিষ্ঠাতার ব্যাপক দুর্নীতি। প্রতিষ্ঠাতার দুর্নীতির কারণে কলেজটি বন্ধ থাকে।

এসময় আক্ষেপ করে তিনি আরো বলেন, কয়েক বছর আগে শতভাগই পাশ করতো। ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষক ছিলো, এখন অনেকেই আসে না। দুর্নীতির ওইসব বিষয়ে কয়েক দফায় শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ করা হয়েছে। কোনো প্রতিকার মেলেনি। কর্মচারীরা অভিযোগ দিয়েছে, জমিদাতারাও অভিযোগ করেছে। কেনো কাজ হয়নি। এভাবে থাকতে থাকতে একসময় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য যে, এই প্রতিষ্ঠান হতে আগামী ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় একজন পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ