বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫ ।। ৪ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২৩ জিলহজ ১৪৪৬


ঈমানের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন করি: শাহ ইফতেখার তারিক 

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: রাকিবুল হাসান

|| মোহাম্মাদ হুজাইফা ||

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শাহ ইফতেখার তারিক। ছাত্রজীবন শেষ হওয়ার পর ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিলেও বেশ কিছুদিন কিছুটা নিষ্ক্রিয় ছিলেন। রাজনীতির চেয়ে অন্য পরিচয়ই তার ক্ষেত্রে মুখ্য হয়ে উঠেছিল। তবে ইসলামি ধারার শিল্প-সাহিত্যাঙ্গনের পরিচিত এই মুখ আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠছেন। দলে তাকে পদোন্নতি দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। 

নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর শাহ ইফতেখার তারিক আওয়ার ইসলামের সঙ্গে ইসলামি রাজনীতি নিয়ে নানা ভাবনার কথা জানিয়েছেন। শাব্বির আহমাদ খানের নেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তিনি ইসলামী আন্দোলন করেন ঈমানের দাবিতে। যারা একবার ইসলামি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন তাদের পিছুটানের সুযোগ নেই। তাদের উচিত জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা। 

বাংলাদেশের রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে শাহ ইফতেখার তারিক বলেন, দেশের স্বাধীনতার এত বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের মূল আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। অর্থনৈতিক বৈষম্য, রাজনৈতিক পরাধীনতা ও মানবিক মর্যাদার অভাব এখনো দূর হয়নি। মানুষ এখনো সত্যিকার পরিবর্তনের অপেক্ষায়। 

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণ নতুন স্বপ্ন দেখছে জানিয়ে তিনি বলেন, পূর্ববর্তী শাসকরা সবই ব্যর্থ হয়েছে। এখন জনগণ চায় ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো যেন নেতৃত্ব দেয় এবং দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করে।

শাহ ইফতেখার তারিক বলেন, ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো ইসলামকে শুধু ধর্ম নয়, বরং রাষ্ট্র পরিচালনার পূর্ণাঙ্গ আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে। এ আদর্শের মূল লক্ষ্য হলো মানুষের মুক্তি নিশ্চিত করা— সব ধরনের অন্যায়, শোষণ ও বৈষম্য থেকে। তিনি মনে করেন, এই বার্তা যদি জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্যভাবে পৌঁছানো যায়, তাহলে মানুষ ইসলামি দলগুলোর হাতেই দেশের শাসনভার তুলে দেবে। 

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘যদি ইসলামি দলগুলো এই বার্তা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে জনগণ তাদের মেরুদণ্ডহীন মনে করবে এবং ভবিষ্যতে গুরুত্ব দেবে না।’

আশাবাদ ব্যক্ত করে ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, অন্যান্য বস্তুবাদী দলগুলোর তুলনায় ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো নৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী। কারণ এদের মধ্যে ভালো ও আদর্শবান মানুষের সমন্বয় রয়েছে। তাদের উচিত নিজেদের শক্তির ওপর ভরসা করে এগিয়ে যাওয়া, বস্তুবাদী দলগুলোর অনুসরণ না করা। 

দলীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা দায়িত্ব পাওয়ার পর অহংকারে ভোগে না বরং নবীজির আদর্শ স্মরণ করে দায়িত্ব পালনে আন্তরিক থাকে। তিনিও সেই আদর্শেই অনুপ্রাণিত হয়ে দায়িত্ব পালনের প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন। 

সবশেষে তিনি ইসলামি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইসলামি রাজনীতির পথ বেছে নেওয়া মানে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকা। বস্তুগত লোভে পড়ে কখনোই অন্য দলে যাওয়া চলবে না। কারণ আমরা রাজনীতি করি ঈমানের দাবিতে, দুনিয়ার লোভে নয়। এই ঈমানি দায়িত্ব কখনোই ভুলে যাওয়া যাবে না।’

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ